জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনজুর মোরশেদ যোগদানের পর পাল্টে গেছে থানা এলাকার চিত্র। কমেছে সন্ত্রাস, অস্ত্রের ঝনঝনানি, মাদক, বাল্য বিবাহ, কিশোর অপরাধ সহ সকল প্রকার অপরাধ। বেড়েছে সেবার মান। ওসি কক্ষে প্রবেশ মুখেই লেখা “আমি আপনাদের সেবক, অনুমতির প্রয়োজন নেই ভিতরে আসুন। থানা ফটক ও ওসি কক্ষের সামনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আচরন প্রত্যেক সেবা নিতে আসা মানুষের মন জয় করে নেয়। আর এই সবটাই হচ্ছে বর্তমান ওসির আন্তরিকতা সুফল।
থানা ফটকে ঘুরে দেখা যায় সেবা প্রত্যাসীদের সালাম দিয়ে পুলিশ সদস্যগন কিভাবে সেবা করতে পারি বলে সম্বোধন করতে। তিনি যোগদানের পর সকল শ্রেণির মানুষের সাথে তার মতবিনিময় করছেন সকল মানুষ কে পুলিশের সেবার আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সকল অপরাধীদের বেলায় জিরো টলারেন্স নীতির অনুসরন করে বিভিন্ন অপরেশন পরিচালনা করে মাদক কারবারি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীদের গ্রেফতার করেছেন। এখনো প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন এলাকার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা করে থাকেন।
ভাল মন মানসিকতা, বিচার বুদ্ধি, মূল্যবোধ ও উদার মন, ইচ্ছা শক্তি এবং দায়িত্ব কর্তব্যকাজে মনোযোগী হওয়া, তার অধিনস্তদের কর্তব্যকাজে একদিকে কড়াকড়ি শাসন অন্যদিকে ভালবাসা দেওয়া নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করাটা খুবই কঠিন কাজ। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যে এ কাজ গুলো করে তার ইউনিটকে জ্ঞ্যানোর মাধ্যমে শৃঙ্খল ভাবে রাখতে পারেন তিনিই হচ্ছেন কর্তব্যপরায়ণ মানবিক গুণাবলীর অধিকারী। সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি অতি সহজেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই হচ্ছে মানবিকতা।
মানবিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ, সাংস্কৃতিক কল্যাণ মোট কথা মানুষকে ভাল ভাবে আপন করে নেওয়া, মানুষের জন্য ভালো কিছু করা এবং মানুষের উন্নতি সাধন করার নামই মানবিকতা। আজকের এ লেখা টি বলতে পারেন পুলিশকে নিয়ে…. পুলিশ সদস্যরা দিন রাত মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করে। জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তারা আমাদের সেবা দিচ্ছে বলেই আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি, চলতে পারছি, রাতে নির্ভয়ে ঘুমাতে পারি, কর্মজীবনে, ব্যবসা বাণিজ্যে সবকিছুতেই বলতে গেলে স্বাধীন ভাবে চলছি। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদারিত্ব দিয়ে অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। সমস্যা বিপদ আপদ হলেই আমরা পুলিশের সাহায্য নিচ্ছি। পুলিশ এসে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
কোতয়ালি থানার ওসি সনজুর মোরশেদ বলেন,
মানুষের শেষ ভরসা স্থলও হচ্ছে পুলিশ। আবার কোন কোন মানুষের ব্যক্তি স্বার্থহানি হলে পুলিশ নিয়ে বিরুপ মন্তব্যও করে থাকেন হরহামেশা, হয়তো না বুঝে না শুনে নিজের স্বার্থ না পেয়ে এটা করে থাকেন যা মোটেই সমীচিন নয়। পুলিশের হাতে গোনা দু- একজন সদস্যের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য পুরো পুলিশ বাহিনীর বদনাম কোন ভাবেই হতে পারেনা। হাতে গোনা দু একটা ছিটেফোটা ও বিচ্ছন্ন ঘটনার জন্য পুলিশ ও পুলিশকে আইনের দিক দিয়ে কোন ভাবেই ছাড় দেয়না যেটা আমরা অবলোকন করছি। একটু চোখ মেলে খুঁজলেই দেখতে পারি পুলিশের অসংখ্য সুনাম খ্যাতি এবং অবদান রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবেনা।
পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা। দীর্ঘ ৯ মাস জুড়ে দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যুদ্ধে ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলে দেখতে পাওয়া যায়। কোতয়ালি মডেল থানার ওসি অনেক সুনাম অর্জন করেছেন অতি অল্পসময়ের মধ্যে। তার সকল কার্যক্রমে কুমিল্লাবাসী ধন্য আইন শৃংখলা রক্ষায় যেমন কঠিন ঠিক তেমন সকল শ্রেণির মানুষের সাথে তার বন্ধু সূলভ আচরণে মুগ্ধ।
তেমনি একজন ন্যায় নিষ্ঠাবান কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ অফিসার হিসেবে ব্যতিক্রম নন কোতয়ালি থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ সনজুর মোরশেদ। তিনি যোগদান করার পর বদলে যায় এই থানার চিত্র। থানাকে মানুষের সেবা স্থলে রুপ দিয়েছেন বলে কুমিল্লাবাসী জানালেন। ওসি তার অধিনস্ত সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছেন ন্যায় নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে মানুষকে সেবা দিতে হবে।