মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক: – মুন্সীগঞ্জ- ৩ আসনে আলোচিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান’কে হত্যার ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম’কে প্রধান আসামি করে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১/মো. আরিফ ২/ তুষার দাস ৩/ সাগর নামে তিন আসামী’কে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
এছাড়াও অনেকেই আগাম জামিন নিয়েছে বলে কয়েক জনে বাকি আসামী’রা ধরাছোঁয়ার বাইরে মামলার এজাহার ভুক্ত উল্লেখ্য দেখা যায়, ১/শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫০) মৃত পিতা, নজরুল ইসলাম। ২/ লিটন মিয়া (৫০) মৃত পিতা, শাহআলম মিয়া। ৩/ বাবুল (৫৫) পিতা, বাহালুল মিয়া। ৪/ সম্পদ (২৬) পিতা, সাধু বেপারী। /৫ রাজু (২৫) পিতা, জাহাঙ্গীর। ৬/ তুষার দাস (২৫) পিতা, বাবুল দাস। ৭/ রাহাত (৩৮) পিতা, জানু মিয়া। ৮/ আল আমিন (৩৭) পিতা, ইদ্রিস মিয়া। ৯/ সাগর (২৮) পিতা, সেলিম। ১০/ আরিফ (৩০) পিতা, আনোয়ার হাজী। ১১/ খসরু রোমান (৫২) মৃত পিতা, খালেক। ১২/ নাদিম (৩০) পিতা, বুলু মিয়া। ১৩/ মনির (৫২) মৃত পিতা, বাহালুল। ১৪/ খোকা (৩৮) পিতা, হাজী বসির মিয়া। ১৫/ মিন্টু (৪২) পিতা, বাহালুল মিয়া ও মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন’কে আসামী করা হয়েছে।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাস বলেন, মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র অন্যদল থেকে এসে মীরকাদিমের মেয়র হারানোর পর কৌশলে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশ রাজাকারেরনাতি কিশোর গ্যাং নামিয়ে দিয়েছে মুরব্বিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট সম্পদ নামে কয়েকদল সন্ত্রাসীর কর্মকাণ্ডে পৌরবাসী অতিষ্ঠ। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট. মোঃ আবুজাফর রিপন, বিপিএএ. বলেন, এহত্যার ঘটনায় আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, আসলাম খাঁন বলেন, দুর্ভাগ্যযে এত লোকজন থাকার মধ্যে কারা হত্যা করলো প্রত্যক্ষদর্শীরা যদি আমাদের কে সাহায্য করত। মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় সাবেক মেয়রসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মিরকাদিম পৌরসভার জিল্লুর হত্যার মামলার প্রধান আসামী করা সাবেক মেয়র শাহিন বলেন, এই হত্যার সাথে আমার কোন সংস্কৃত নাই যদি থাকে আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে বলতে চাই আল্লাহ জেনেও আমাকে এভাবে হত্যা করে কোন নির্দেশনাও ছিলোনা সে গুন্ডাকে সে খুনিকে ওখানে পাঠিয়ে কিভাবে ছককরে হত্যা করে দিলো সে ফাঁদে আমরা পরে গেলাম। ইতিপূর্বে রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে পৌরসভার টেঙ্গর এলাকার রিকাবীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে জিল্লুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জিল্লুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ছিলেন।