• রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহীতে পুলিশের প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার হ্যান্ডকাপ নিয়েই পালিয়ে যাওয়া যুবলীগ নেতার কান্ডে ১৫০ জনের নামে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার সাবেক ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তহশিলদার সোবহান এর দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে সংঘর্ষ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নরসিংদীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৬ যাত্রী নিহত ইসরায়েলের হামলা সফলভাবে প্রতিহতের দাবি ইরানের

রাজশাহীতে পুলিশের প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ১৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে। বাঘায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবুল হাশেমের উপর হামলা ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হলেও আসামীদের আটক করেনি পুলিশ। মামলা নিতেও করেছেন গড়ি মসি। এদিকে গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসির নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দূর্গাপুর থানার নাশকতার মামলায় ফাঁসানো হয় সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন’কে।

সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকায় কর্মরত।

বাঘার ঘটনায় জানা যায়, সংবাদ প্রকাশ’কে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীরা  পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক আবুল হাশেম ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনা আবুল হাশেমের মাথায় ৫ টি  ও তাঁর পিতা সাজদার হোসেনের মাথায় ১২ টি সিলাই দেওয়া হয়। আসামী’রা এখনো হুমকি ধামকি দিচ্ছে সাংবাদিক পরিবার’কে। পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়।

দূর্গাপুরের ঘটনায় জানা যায়, গত শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসি এলাকার নসির উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন’কে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলায় আসামী করা হয়। ওই নাশকতা মামলার এজাহারে তাঁর নাম উল্লেখ্য ছিলো না।

অজ্ঞাত আসামী নামে তাঁর নাম ঢুকিয়ে আদালতে চালান করা হয়। শুধুমাত্র এএসআই আমিনুলের কথায় তাকে আটক করা হয়। আমিনুল দীর্ঘদিন থেকে দূর্গাপুর থানায় কর্মরত। পুকুর খনন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এএস আই আমিনুলের সঙ্গে ঝামেলা ছিলো শাহাবুদ্দিনের।

আটকের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে নাটক। আটকের পরে সদুত্তর দিতে পারিনি পুলিশ। কেনো তাঁকে আটক করা হলো? এমনকি সেসময় ফোনও রিসিভ করেননি থানার ওসি সহ উদ্ধর্তনরা। এ ঘটনা দুটিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি ঘটনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিহিংসার প্রতি ফলন ঘটেছে। পুলিশ প্রতিহিংসা থেকে পৃথক দুটি ঘটনায় হামলার আসামী গ্রেফতার না করা এবং কারণ ছাড়াই সাংবাদিক’কে আটক করা হয়।

এঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সহ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বি এম এস এস) রাজশাহী বিভাগীয় কমিটি।

এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন (বসকোর’) কেন্দ্রীয় পরিষদের মহা সচিব মোঃ ফয়সাল হাওলাদার। 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (এডিশনাল এসপি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবছি না। প্রতি হিংসা ও করছি না। এটা আপনাদের ভূল ধারণা। সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমরা কাউ’কে গ্রেফতার করছি না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...