নিজস্ব প্রতিবেদক লন্ডনের এক বিএনপি নেতার নির্দেশে এবং বরিশালের পুলিশের ডিআইজির সহযোগিতায় শ্লীলতাহানি চক্রের এক তরুণী সালমা আক্তার বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অভিযোগ ও সাধারণ মানুষের নামে মামলা করে হয়রানি করছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর ও বরিশালের পুলিশের ডিআইজির কারণে এই নারীর বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় আইন ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তরুণীর বিরুদ্ধে। বিপাকে তদন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। বরিশালের পুলিশের ডিআইজির সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের নামে মামলা করে হয়রানি করছেন শ্লীলতাহানি চক্রের তরুণী সালমা আক্তার, বাদ যাচ্ছে না পুলিশ। আইনের অপব্যবহার ও প্রশাসনকে বার বার বিভ্রান্ত করে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সালমা আক্তার নামে এক তরুণী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সৌদি প্রবাসী এবং তার পরিবারকে লাগাতার হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
নিরীহ এই পরিবারকে হয়রানি করতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন খোদ তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপাকে ফেলেছেন এই তরুণী।এ ঘটনায় উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দেবত্র গ্রামের রতন তালুকদারের ছোট মেয়ে সালমা আক্তার (৩০) সহ আরো তিনজনকে অভিযুক্ত করে অর্থ আত্মসাৎ ও হয়রানির অভিযোগে মোকাম মঠবাড়িয়া উপজেলা বিজ্ঞসিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন এই ভুক্তভোগী পরিবার৷
তাছাড়াও পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ও সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হয়রানির শিকার ঐ সৌদি প্রবাসীর পরিবার। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে নেমে অগ্রযাত্রার হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। মামলার বিবরণী, বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা, ও ভুক্তভোগী এবং তদন্তকারীদের মতে, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সুত্র ধরে নাসিরকে ফাঁসাতে শুরু করেন সালমা আক্তার। বিভিন্ন ভাবে ৪ বছরে প্রবাসে থাকা নাসিরের ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সালমা আক্তার ও তার পরিবার৷
সালমা আক্তার সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয় এবং তদন্তে ভুল প্রমাণ হওয়ায় এখন খোদ তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপাকে ফেলেছেন এই প্রতারক চক্রের তরুণী এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এক বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই প্রতারক চক্রের সদস্য প্রতারক সালমা আক্তার লন্ডন প্রবাসী এক বিএনপি নেতার নির্দেশে এই কাজ গুলো পরিচালনা করে যাচ্ছে।
সালমা আক্তারকে বরিশালের পুলিশের ডিআইজি সহযোগিতা করছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই তরুণীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরও ডিআইজির কারণে তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তৎকালীন মঠবাড়িয়া থানার ওসি সহ আরো ২জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। এই অগ্রযাত্রার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কতিপয় ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেটের যোগসাজশে এখন পুলিশকেই হয়রানির মিশনে নেমেছেন এই প্রতারক সালমা আক্তার৷
বিশেষ অনুসন্ধানে সালমা আক্তারের সহযোগী হিসাবে আল আমিন নামে এক ভুয়া সাংবাদিকের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে হাতে আসা একটি ভিডিওতে নিজেকে নিবন্ধনবিহীন ভুয়া “দৈনিক সোনার” বাংলাদেশ এর সম্পাদক দাবী করা আল আমিনকে ঐ তরুণীর সাথে কথা বলতে এবং মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসিকে হয়রানির পরিকল্পনা করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ঐ একই ভিডিওতে মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলতেও শোনা যায়।
একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত চাঁদাবাজ আল আমিন বর্তমানে সাতক্ষীরার পাটকেল ঘাটা থানায় হওয়া একটি চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে সালমা আক্তার তার কথামতো কাজ না করায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে যাচ্ছেন পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে। নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সালমা আক্তারের অভিযোগের তদন্তে যুক্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা জানায় প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানি করতে রীতিমতো তাকে হুমকি ধামকি দেয় এই প্রতারক সালমা আক্তার৷ না হলে আইজিপি অফিসে অভিযোগ দিয়ে তাদের চাকরির ক্ষতি করবে বলেও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন এই প্রতারক তরুণী।
কিন্ত তবে ও সালমা আক্তারের অন্যায় আবদার মেনে না নিয়ে আইনের পথে অবিচল থাকায় বিভিন্ন দপ্তরে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে এই তরুণী। আবার অন্যদিকে সালমা আক্তারের লাগাতার হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী নাসির উদ্দিন মোকাম মঠবাড়িয়া উপজেলা বিজ্ঞসিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন৷
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকার এবং যারা সাহসীভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচারের শেষ নেয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি অধ্যুষিত অঞ্চলে দ্বায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলের জামায়াত ও বিএনপি নেতারা সাহসী এসব কর্মকর্তাদের কখনো মামলা, কখনো স্পর্শকাতর অভিযোগ আনছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,আগামী জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে জামায়াত বিএনপির এই চক্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ততই মাথা চাঁড়া দিচ্ছে। মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করেই এই চক্রান্তের অংশ হিসাবে সাহসী এসব কর্মকর্তার নামে ভূয়া ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করছেন একটি মহল।এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কখনও কখনও ওই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তবে শেষমেশ এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা হচ্ছে না।