শেখ মোঃ সোহেল রানাঃ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা কনকসার ইউনিয়ন মশদগাঁও সোসাইটি পশ্চিম পাশে কৃষকের ধান ক্ষেতে অবৈধ ড্রেজার পাইপ বসিয়ে জমি ভরাট বানিজ্য স্থানীয় প্রভাবশালী মানিক ঢালী গং দেখার কেউ নেই।তবে উপজেলা প্রশাসন সাধ্য মতো চেষ্টা করছেন ড্রেজার বানিজ্য বন্ধের। এরই মধ্যে উপজেলা কয়েক স্থানে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরজমিনে গতকাল ১৬ মার্চ শনিবার দুপুরে উপজেলা কনকসার ইউনিয়ন মশদগাঁও সোসাইটি পশ্চিম পাশে কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ধানক্ষেতের উপর দিয়ে বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধ ড্রেজার পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পদ্না নদীর পাড় ঘেঁষে লৌহজং বাজার পাকা ব্রীজ নিচ দিয়ে রাসেদ শেখ এর দোকান নিজ দিয়ে দোকান ও রাস্তা বোরিং করে পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কনকসার উত্তর দিক দিয়ে কৃষক ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে দক্ষিণে। একটি পকেটে গিয়ে পাইপ থেমে আছে। সম্ভাব্য রাতে বালি ফেলানো হবে এই স্থানে। কৃষক মোঃ চাঁনমিয়া মাদবর বলেন, আমি ১২ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষেত রেখে ধান বুনে ছিলাম। আমার ধানক্ষেতের উপর দিয়ে পাইপ বসিয়ে কৃষি জমি ধান নষ্ট করায় আমি জমিতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে গলাধাক্কা ও গায়ে হাত দিয়ে গালমন্দ করে। পরে আমি থানায় গিয়ে আমাকে মারধর ও ধানক্ষেত নষ্ট বিষয়ে কি লিখিত অভিযোগ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানচাষী একাধিক কৃষক এর অভিযোগ মোঃ মানিক ঢালী (৩২) পিতা মৃত্যু মুনসুর ঢালী, তার সাথে ড্রেজার বানিজ্য অংশীদার মিরাজ খান (২৮) পিতা বাবুল খান, মোঃ আরিফ খান ( ২৭) পিতা শহীদ খান সহ আরো ৬/৭ জনের এই বানিজ্য। তারা গতকাল এক কৃষক ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে পাইপ নেয় প্রতিবাদ করায় তাক কে মারধর করে পরে সে লৌহজং থানায় লিখতে অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
অবৈধ ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বানিজ্যকারী মানিক ঢালী বলেন কৃষক ধান ক্ষেতে কোন ক্ষতি হবে না। যদি ক্ষতি হয় আমি পূরণ করে দেব।তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে ড্রেজার বাণিজ্য অবৈধ আপনি জানেন কি? তিনি বলেন জানি তবে কি করবো কাজের অভাব।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজার পাইপ কনকসারে কোথায় তা আমার জানা নেই। বিষয় টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।কৃষক এর ধানক্ষেত দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে কাজ কোন সুযোগ নেই। খুব শীগ্র আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।