• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

শাহজালালে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক আটক

সংবাদদাতা / ১২৩ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় আট কেজি স্বর্ণসহ শফিকুল ইসলাম (৩৩) নামে বিমানের এক এয়ারক্রাফট মেকানিককে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য সাত কোটি ৮০ লাখ টাকা।

সোমবার (২১ আগস্ট) এই তথ্য জানায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। রোববার রাত ১০ টায় বিমানবন্দরের হ্যাংগারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি গোল্ডবার পাওয়া যায় যার ওজন সাত কেজি ৮৮৮ গ্রাম। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল। এদিন সন্ধ্যা ০৭ টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি-৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাতে ৯টা ৩০ মিনিটে হ্যাংগারের সামনে পার্ক করে রাখা হয়।

বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে-একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন। বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। এ সময় তার চলাচল এবং গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি নেমে আসেন। দ্রুত স্থান ত্যাগের চেষ্টা করেন, তখন তাকে আটক করে এপিবিএন।

আটকের পর তাকে হ্যাংগারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তার কাছে উল্লেখিত ৬৮টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। এ সকল স্বর্ণের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল বিমানের ডগ বক্স থেকে এই স্বর্ণ সংগ্রহ করেন বলে জানান। কিন্তু এই স্বর্ণের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার অধিবাসী। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে বলেও এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক নিশ্চিত করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...