শেরপুর ব্যুরোঃ শেরপুরে অভিনব কায়দায় কাঁকরোল চাষে হাজারো কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে ঝিনাইগাতী উপজেলায়, সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেষা গারো পাহাড়ের পাদদেশ শেরপুর জেলা, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫ নং নলকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের মূখে হাসি। নলকুড়া গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী সবাই বিভিন্ন সবজির আবাদ করেন যার মধ্যে অন্যতম হলো কাঁকরোল চাষ।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গ্রামের কৃষক কাঁকরোল চাষের ওপর নির্ভরশীল।এখানকার কাঁকরোল জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আর এভাবেই চাষকৃত কাঁকরোল বিক্রি করে নিজেদের সংসারের চাকা সচল রাখছেন স্থানীয় বাসিন্দা’রা।
কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের নীচে হয়ে থাকে। যা দেখতে মিষ্টি আলুর মত। মার্চ ও এপ্রিলে এই সবজির চাষ করা হয়। চারা গজানোর ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব। কাঁকরোল লতানো জাতীয় উদ্বিদ। স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয়না। তাই বাগানে দুই ধরনের গাছ না- থাকলে পরাগায়ন ও ফলন কম হয়।
কাঁকরোল চাষে বিঘাতে খরচ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কৃষকেরা বলছেন,যদি ফলন ও দাম ভাল হয় তবে প্রতি বিঘায় খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকার উপরে লাভ থাকবে বলে আশাবাদী। এবছর ঝিনাইগাতি উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে কাঁকরোলের চাষ হয়েছে। কাঁকরোল অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন কাঁকরোলে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন এ, বি ও সি এবং খনিজ পদার্থ উল্লেখ যোগ্য পরিমাণে রয়েছে।
কাঁকরোলে ভিটামিন সি থাকায় শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কাঁকরোলে আছে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না, ত্বককে করে উজ্জল। এছাড়া কাঁকরোলের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। একটা সময় এই এলাকায় বহু জমি পতিত থাকতো। কিন্তু ধীরে ধীরে তা চাষাবাদের আওতায় আসতে শুরু করে।
পরবর্তীতে ওইসব গ্রামে প্রায় সব মানুষই নিজের কিংবা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে কাঁকরোল চাষ শুরু করে। এখান কার কাঁকরোল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।এদিকে কাঁকরোল চাষীদের সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান, শ্রীবরদি ও ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার।