বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুমতি ছাড়া ১৫ আগস্ট শোক দিবসের রাতে রাজধানীর বারিধারা ক্লাবে নৈশভোজের আয়োজন করেন ফ্লাইট পার্সার মো. গোলাম দস্তগীর। এতে বিমানের ডিউটিতে না থাকা কর্মীদের দাওয়াত দেন তিনি। বিমান বাংলাদেশকে অবহিত না করে শোক দিবসে আলোচনা সভা ও ডিনার পার্টিতে উৎসবে মেতে ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ লেটার) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ আগস্ট) রাতে তাকে নোটিশটি দেন বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন (ফ্লাইট সার্ভিস) মো. মনিরুজ্জমান খান। বিমানের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘টিম দস্তগীর’ ব্যানারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন তিনি। বিমানে চাকরির প্রবিধান অনুযায়ী ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। রোববার থেকে দস্তগীরকে সব ধরনের দায়িত্ব থেকে বিরত রেখেছে (অলিখিতভাবে গ্রাউন্ডেড) বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। দস্তগীরের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের কেউ মন্তব্য করেনি। তবে শোকজের কপি ও ডিনার পার্টির আমন্ত্রণপত্র হাতে এসেছে।
বিমানের দেওয়া শো কজ লেটারে বলা হয়েছে, জাতীয় শোক দিবসের দিন (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বারিধারা ক্লাবে ‘টিম দস্তগীর’ ব্যানারে আলোচনা সভা এবং নৈশভোজের আয়োজন করেছেন দস্তগীর। অনুষ্ঠানে সবাইকে প্রাণবন্ত উপস্হিতিরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়, যা তিনি নেননি।
তার এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশনের চাকরি বিধির পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে আরও বলা হয়, দস্তগীরের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে না জানালে বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা-১৯৭৯ এর ৫৫ ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।