• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

সওজ প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর থলেতে দূর্নীতির কালো বিড়াল

সংবাদদাতা / ১০৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

সিনিয়র-জুনিয়র সহকর্মীদের সাথে করেন অসদাচরণ  দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল অনিয়ম দুর্নীতির কারণেই বারবার বদলির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ, নিজে’কে সড়কের কিং বলে নাকি হরহামেশাই পরিচয় দিয়ে থাকেন। তথা-কথিত প্রভাবশালী এই প্রকৌশলী নাকি অ্যাড-মিনিস্ট্রেশন, মিডিয়া, এমনকি তোর সিনিয়র কর্মকর্তাদের ও তোয়াক্কা করে না, এমনটাই বলাবলি করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তার অনেক সহকর্মী’রা। কেউ কেউ বলছে তার হাত অনেক দূর, বড় বড় ঠিকাদার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়া থাকা কথিত প্রভাবশালী এই নির্বাহী প্রকৌশলী নাকি বলে বেড়ান আমি আমার মনের রাজা, কারো ধারী না ধার, আমার সাথে টক্কর নেওয়ার এমন সাধ্যি কার? “সওজ ঢাকা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গণমাধ্যম কে বলেন, আহাদুল্লাহ কেমন জানি একটা লোক, একটু পাগলা’টে স্বভাব আছে, জ্বেদিও বেশ, ওর অহংকারী আচরণের কারণে আমি তার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র হয়েও দূরত্ব বজায় চলি।

ওর কথাবার্তা ঠিক ঠিকানা নাই,যখন যা মুখে আসে বলে ফেলে, আসলে বারবার অভিযোগ সামাল দিয়ে সে হয়তো আরো পরোয়া হয়ে গিয়েছে “নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে বিগত ১৫ বছর ধরে কোন বিভাগেই তিন বছরের বেশি ছিলেন না তিনি, যে বিভাগেই কর্মরত ছিলেন সেখানে তার খাম-খেয়ালি-পনা, উগ্র স্বভাব, ও দুর্নীতি অনিয়মের কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বারবার বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যখন যে বিভাগে কাজ করেছেন সে বিভাগেই নাকি একটা না একটা তেলেসমতি কান্ড ঘটিয়েছেন এ নির্বাহী প্রকৌশলী।

ঠিকাদার দিয়ে কুমিল্লার লালমাই পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করার মদদ দেয়া, বসুরহাট করলিয়া সড়কের মাঝখানে গ্যাস রাইজার রেখেই রাস্তা ঢালাই দেওয়া, সাভারের সড়কে ভড় দুপুড়েও লাইট পোস্ট জালিয়ে রেখে বিদ্যুৎ অপচয় করা, মাসোহারার বিনিময়ে সড়কের জায়গায় ঠিকাদার কোম্পানির মালামাল রাখতে দেওয়া, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সড়ক দখলদারদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়া, সিরাজগঞ্জে কর্মে গাফিলতি করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান’কে বাঁচাতে সওজের প্রকল্প’কে অসুস্থ প্রকল্প বলে আখ্যা দেওয়া, কুমিল্লার মুরাদনগর এর সরকারি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকান ঘর নির্মাণে বাধা না দিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করা ও দোকান ভাড়ার ভাগ নেওয়া সহ কর্মক্ষেত্রে এরকম অসংখ্য দূর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি গণমাধ্যম এর কাছে ধরা পড়লেও নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহর সকল জায়গায় একই মুখস্থ বক্তব্য “আমি এ মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমি এর দ্রুত ব্যবস্থা নেবো” একযুগেরও বেশি সময় ধরে অনিয়ম খামখেয়ালীর পড় গণমাধ্যমকে এই মুখস্ত লাইনটি শুনিয়ে যাচ্ছেন সওজের বেপরোয়া প্রকৌশলী খ্যাত আহাদ উল্লাহ।

ধরা খেয়ে সরা জ্ঞান ছড়ানোতে বেশ পটু তিনি। কর্মজীবনে যেখানেই ছিলেন সেখানে গড়ে তুলেছেন তার রাম রাজত্ব, ঠিকাদারদের জিম্মি করে এবং নানান অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠেছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী। এসব দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে প্রকৌশলী আহাদুল্লাহ দেশে-বিদেশে নিজ স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে গড়েছে সম্পদের পাহাড়, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক আয় বহির্ভূত সম্পদের হদিস পেয়েছে গণমাধ্যম, ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোড ও লালমাটিয়ায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট (সপ্তক হক হেরিটেজ ১৬৯/১ এ্যালিফ্যান্টরোড ফ্ল্যাট সি-৭ ও ধানমন্ডি লালমাটিয়ায় ব্লক-বি ২/৪নং বিটি আই ফেয়ারভিউ) সরেজমিনে তার হদিস পাওয়া গেছে। শোনা যায় উত্তরায় রয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাট ও ও টয়োটা ব্র্যান্ড দাম একটি গাড়ি, যার নম্বর (ঢাক মেট্রো-খ ২১-৫৯৫৮) যা তার সার্বিক আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তার আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ দুদক কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করছে, বোদ্দাগণ মনে করছে প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহকে দুদকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার পরিবারের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব নিলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...