নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতিদিনের কাগজ এর প্রধান সম্পাদক, নির্যাতিত সাংবাদিক প্রিয় খায়রুল আলম রফিককে জানাচ্ছি জন্মদিনের গোলাপ শুভেচ্ছা। আমার বড়ই আপনজন রফিকের হাজারো গুণের কথা তুলে ধরতে পারবো মুহূর্তেই। তাতে হয়তো কেউ কেউ অনুরোধের আসরও ভাবতে পারেন….
সাংবাদিক রফিকের কয়েকটি গুণ আমাকে মুগ্ধ করে বরাবরই। সভ্য, বিনয়ী, সাংবাদিক বান্ধব একজন মানুষ। দেশের কোনো প্রান্তে সাংবাদিক নির্যাতিত হলেই বিচলিত হয়ে উঠে সে, প্রথম প্রতিবাদ জানাতেও ভুল করে না। জাতীয় ভিত্তিক পরিচালিত একটি দৈনিকের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে থাকলেও রফিক এখনও নিজেকে মাঠের সংবাদকর্মি হিসেবেই মনে করে।
শুধু মনে করা নয়, জেলা পেরিয়ে উপজেলা সদর এমনকি নিভৃত জনপদ ঘুরে সেখানকার প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন তৈরি করে সে। সাংবাদিকতা নিজের রক্ত, মাংস, অস্থি মজ্জার সঙ্গে মিশে গেলেই এমন নেশা পেশা ধরে রাখা সম্ভব- যা রফিক অহরহ করে চলছে।
শুধু সংবাদপত্র আর সাংবাদিকতার জন্যই তাকে বর্বরতম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, কাধে চাপানো হয়েছিল একের পর এক মামলা। সেসব মামলার ঘানি আজও রফিক বয়ে বেড়াচ্ছে নিরবে, নিদারুণ যন্ত্রণায়। এ কারণে নির্যাতিত সাংবাদিকদের প্রতি তার দায়িত্ব কর্তব্যবোধের মাত্রাটাও বোধকরি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আমার জানামতে মামলার শিকার অন্তত দুই ডজন সাংবাদিককে নিজের টাকা ও চেষ্টায় ঢাকায় এনে জামিনের দায়িত্ব পালনেরও নজির আছে তার। অনেকের পাশেই দাঁড়িয়েছে চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে।
সংবাদ কর্মিদের প্রতি এমন দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ নিয়ে রফিক বেঁচে থাকুক যুগ-যুগান্তর। তার সম্পাদিত পত্রিকাটিও হোক পাঠকপ্রিয়। সাংবাদিকদের প্রতি অন্ধ ভালবাসার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অপসাংবাদিকতা যেন পাশে ঘেষতে না পারে- ভালবাসার অধিকারে সে পরামর্শ দিয়েই যাবো প্রিয় রফিককে। আজকের জন্মদিনকে সামনে রেখে অফুরন্ত দোয়া রইলো- থাকছে সুখময় জীবনের আশীর্বাদ