নিজস্ব সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের সাবেক এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি ছেলে উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ ও তার পরিবার নিয়ে পত্রিকায় ফেসবুক পেজে পোস্ট করায় ময়মনসিংহ – ৭ ত্রিশাল আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামান, সাংবাদিকসহ চারজনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইবুন্যালের বিচারক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ত্রিশাল উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ। আদালত আগামী ১৫ মের মধ্যে ত্রিশাল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, ময়মনসিংহ – ৭ ত্রিশাল আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক, সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা ও ত্রিশাল উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুমন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসান মাহমুদ বলেন, ১ নং আসামীর নির্দেশে সকল বিবাদীগন দীর্ঘদিন ধরে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের রাজনীতি ধ্বংস করতে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন মামলা আমার থানায় এখনো আসেনি। আসলে বিস্তারিত জানতে পারবো। ময়মনসিংহ জজ কোর্টের আইনজীবী সবুজ মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন,বিবাদীগণ ত্রিশালে একটা আধিপত্য বিস্তার করছে। তাদের দাপটে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
এবিষয়ে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান, সাংসদসহ আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা তারা দীর্ঘদিন ধরেই করছে। এসব করে থামাতে পারেনি। ত্রিশালবাসী বিপুল ভোটে আনিছ সাহেবকে এমপি হিসাবে জয়ী করেছেন।তিনি এখন উন্নয়নের রূপকার। বাদী প্রকৃতভাবে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নামে মামলাটি করেছেন। কে অপরাধী তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাব।
ময়মনসিংহ – ৭ ত্রিশাল আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান এসব মিথ্যা অভিযোগ। তারা প্রকৃতভাবে মাদক ব্যবসায়ী। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশ হয়েছে। তাদের নামে ত্রিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় মামলা রয়েছে ।