আনিছুর রহমান রুবেল, সিরাজদিখান থেকেঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পুর্ব বিরোধের জেরে হামলায় আহত হয়েছে মা-মেয়ে ২জন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে স্বর্ণ-অলংকার।এবিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০) থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় পূর্ব হতে বিরানীগণের সাথে বাদীর বিরোধ চলিয়া আসিতেছে।গত ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর বসত বাড়ীতে আসিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।বাদী বিবাদীগনকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীগন বাদীকে মারপিট করার জন্য ধাওয়া করে। এখন বাদী প্রান রক্ষার্থে ভাসুর তালেম খন্দকারের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলে বিবাদীগন ঐ বাড়ীতে গিয়ে বাদীকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
তখন বাদীর মেয়ে মুনা আক্তার (১৮) বাদীকে উদ্ধার করিতে আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন বাদীর মেয়েকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদীগন মেয়েকে ইট নিয়ে এলোপাথারী ভাবে আঘাত করিয়া মাথায় ও মুখ সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তখন মেয়ে মাটিতে পড়িয়া গেলে মেয়ের বুকে এলোপাথারী ভাবে লাথি মারিতে থাকে। যাহার ফলে মেয়ের নাক দিয়ে রক্ত বাহির হয়ে যায় এবং বমি করিয়া দেয়। বিবাদীগন মেয়ের কাপড় চোপর টানা হেচরা করিয়া শ্রীলতাহানী ঘটায়।
এবং গলা থাকা ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান ৪৫,০০০/- টাকা নিয়ে যায়।বাদীর গলায় থাকা ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান ৪৫,০০০/- টাকা নিয়ে যায়। তখন অন্যান্য লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল থেকে চলিয়া যায়।
পরবর্তীতে মা-মেয়ে চিকিৎসার জন্য সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং মেয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছে।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার এসআই মাহাবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।