ফয়সাল হাওলাদার, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
সোনারগাঁয়ে আলোচিত মাদকসম্রাট মামুন অবশেষে ডিবির জালে আটক। জনমনে স্বস্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কে এই মাদক ব্যবসায়ী মামুন ওরফে কানা মামুন ? অবশেষে সোনারগাঁয়ে তা উন্মোচন হয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত মাদকাসক্ত মাদক সরবরাহ কারী ও মাদক ব্যবসায়ী মামুন, সোনারগাঁ মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি দাবিদার সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ্ মোঃ সোহাগ রনির আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে । বিভিন্ন ব্যানার, ফেসটোন,ফেসবুক পেইজে হাজী সাহেবের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। শুধু তাই নয় গত ইউনিয়ন পরিশদ নির্বাচননে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী সাহেব কে নিয়ে মামুনের প্রচারণা চোখে পড়ার মতো। এই সেই মামুন ওরফে কানা মামুন। যে হাজী সাহেবের ছত্রছায়ায় সোনারগাঁয়ে মাদকের সম্রাট হয়ে উঠেছে। গড়ে তোলেছে সোনার গাঁয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাদকের হট স্পট।
যার ফলে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া, সাদীপুর, গুহাট্রা, বাড়ি চিনিস, বাড়ি মজলিস সহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের মত মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যের আস্তানা গড়ে উঠেছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির মদদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মামুন ওরফে কানা মামুন। ভূমি খেকো হাজী সাহেব অপরাধ জগতের কিং কেনা জানে ? জোরপূর্বক জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন-সহ মাদক নিয়ন্ত্রণ তার নিত্য দিনের সঙ্গী। অবৈধ পথে টাকা উপার্জন করে গড়ে তুলেছে টাকার পাহাড়। পৈত্রিক সম্পত্তি তেমন কোন ভূমিকা না থাকলেও অপরাধ জগতের কিং হয়ে বিশাল সম্পদের মালিক এই শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। তৈরি করেছে ক্যাডার বাহিনী, সন্ত্রাস বাহিনী সহ মাদক সরবরাহকারী। মামুন ওরফে কানা মামুন, গত বুধবার সকাল ছয়টার দিক নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান তালুকদার ও আরিফ শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানার বাড়ী চিনিষ পশ্চিম পাড়ার কবিরের বাড়ীর সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১৫ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী মামুন কে গ্রেফতার করে।
ইতি পূর্বে তাকে একাধিকবার মাদকসহ আটক করেছে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোগরাপাড়া এলাকার তৃণমূল আ;লীগের কর্মীরা জানান, সোহাগ রনির ছত্রছায়ায় এসব মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রদলের ক্যাডার ও নাশকতার আসামিদের লালন পালন করে সোনারগায়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যার ফলে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের মধ্যে দল বিভক্তি বেড়েই চলছে। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী এই সোহাগ রনির রাজনীতি থেকে মাইনাস না করলে সোনারগাঁ আ’লীগকে বাঁচানো সম্ভব নয়। মামুন ওরফে কানা মামুন ও তার মদদদাতা হাজী সাহেবের মতো লোকদের দল থেকে বিতারিত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নয়তো আগামি নির্বাচনে এই উপজেলা থেকে নৌকার ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না।