জনপ্রিয় কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সাহিত্যের এই রাজপুত্র ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন রয়েছে।
তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন, কোরআনখানি, এতিম শিশুদের খাওয়ানো ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। লেখক-প্রকাশক, স্বজন ও ভক্তরা নুহাশপল্লীতে প্রিয় কথাশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাবেন। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সময়ই তার লেখালেখি শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হয়েছিলেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ এবং ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ প্রকাশের পর একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিতি পান। এরপর গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ গ্রন্থ, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজৈবনিক রচনা প্রভৃতি মিলিয়ে তার কয়েক শ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। আশির দশকে বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিক নাটকের ইতিহাসে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেন। হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত চলচ্চিত্রও ছিল সমান জনপ্রিয়।
সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।