• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন

১ লাখ পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার- ১

Reporter Name / ১৩৩ Time View
Update : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ- বর্তমানে বাংলাদেশে ভয়াবহ মাদক ইয়াবা একটি দুঃ সপ্নের নাম। পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার হতে চোরাইপথে বিভিন্ন সিন্ডিকেট এই ইয়াবা বাংলাদেশে পাচার করে থাকে। গোপন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং হতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে চোরাকারবারীরা ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে।

অত্র এলাকায় এই পাচারকারীদের সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণ করে কুখ্যাত সন্ত্রাসী নবী হোসেন এবং তার প্রধান সহযোগী রাজ্জাক মাঝি। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও পত্রপত্রিকায় এই চক্রের কুকীর্তি সম্বলিত খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই চক্রটি মানুষ বন্ধক রেখে স্থানীয় মাদক কারবারীদের নিকট ইয়াবা সরবরাহ করে।

পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তারা সেই বন্ধককৃত মানুষকে নানাবিধ শারীরিক নির্যাতন করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে হত্যা পর্যন্ত করে থাকে। বিভিন্ন তথ্য মতে, এভাবে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। প্রতিমাসে এই চক্রটি বড় বড় ইয়াবার চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেশের যুবসমাজকে প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি সংস্থা নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই চক্রটিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। চলমান গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে জানা যায়, নবী হোসেন- রাজ্জাক মাঝি গ্রুপ ইয়াবার একটি বড় চালান উখিয়ার জামতলী-বালুখালী এলাকায় প্রবেশ করাবে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় ওৎ পেতে থাকে।

২৬ আগস্ট রাত ৮ টায় একটি বস্তাসহ একজনকে আটক করে। তাৎক্ষণিক ভাবে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তার বস্তা তল্লাশী করে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তি তার পরিচয় ইলিয়াস (৩৮), পিতা- ফজল করিম মেম্বার, সাং-ঘুমধুম, বেতবুনিয়া পশ্চিমপাড়া, ইউপি- ঘুমধুম, থানা- নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা- বান্দরবান বলে জানায়। সে আরো জানায়, একটি সংঘবদ্ধ দল মাদক ইয়াবার আরেকটি বড় চালানসহ বালুখালী কাকারা ব্রীজ অতিক্রম করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করবে।

এরপর আভিযানিক দল কর্তৃক উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে এবং রাত ১ টায় একটি দলকে কয়েকটি বস্তাসহ অতিক্রম করতে দেখা যায়।তাৎক্ষণিক ভাবে আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অতঃ পর তাদের ধাওয়া করে ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু তাদের সাথে থাকা অপর ৫/৬ জন পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তাদের পরিচয়, মোঃ আব্দুল্লাহ রাজ্জাক (রাজ্জাক মাঝি) (৫৫), পিতা- মোঃ তাহের, সাং- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক- ডি, থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার; সাহেদ (২১), পিতা- মোঃ মঞ্জুর মিস্ত্রি, সাং-পূর্ব পারির বিল, বটতলী, ০৯ নং ওয়ার্ড, ইউপি- পালংখালী, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার; মোঃ আয়াজ @ আজিজুল (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল কাদের, সাং- বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক- ৫২, থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার; মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৭), পিতা- মৃত ফরিদ আলম, সাং- পূর্ব পারির বিল, বটতলী, ০৯ নং ওয়ার্ড, ইউপি- পালংখালী, থানা- উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।

তৎক্ষণাৎ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তাদের নিকট থাকা বস্তাগুলো তল্লাশী করে ৩,১০,০০০ (তিন লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ গ্রেফতারকৃতদের দেহ তল্লাশী করে রাজ্জাক মাঝির নিকট থেকে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০৯ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ০১ টি ম্যাগাজিন; সাহেদ হোসেন এর নিকট থেকে ০১ টি একে- ২২ রাইফেল এবং ০৫ রাউন্ড তাজা গুলি; মোঃ আয়াজ @ আজিজুল এর নিকট থেকে ০১ টি এসবিবিএল এবং ০৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে অস্ত্র ও মাদক আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category