নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে গত ৮ অক্টোবর ২০০২ তারিখ সন্ধ্যায় অষ্টম শ্রেণী পড়য়া ছাত্রী পূর্ণিমা রাণী শীলের বাড়ি’তে হামলা চালিয়ে কতিপয় আসামি ভিকটিম ও তার মা বাবা ভাই’কে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ভিকটিম পূর্ণিমা রাণী শীল’কে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচু ক্ষেতে ফেলে গণ-ধর্ষণ করে।
পরবর্তী’তে ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।যার মামলা নং-০৮, তারিখঃ ১০ অক্টোবর ২০০১, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/১০(১)/৩০। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন আসামী’কে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেক’কে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করেছে আদালত। মামলা রুজুর বিষয় টি জানতে পেরে আসামী’রা আত্ম-গোপনে চলে যায়।
ইতোমধ্যে ঘটনা টি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-১০ উক্ত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ১৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য- প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণ- ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ পলাতক আসামী আঃ মমিন (৪০), পিতাঃ শেতল, সাং-পূর্ব দেলুয়া, থানাঃ উল্লাপাড়া, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত মামলার পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে ঢাকার ধামরাই সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্ম- গোপন করে ছিল বলে জানা যায় র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।