বিশেষ প্রতিনিধি, (চট্টগ্রাম): দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে চাঁদাবাজির ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে মালিকদের সাথে প্রতারনা, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিয়ন্ত্রন, মাদকের গডফাদার হারুন অর রসিদ ওরফে বডি বিল্ডার্স হারুন। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরির দায়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন এমন কিছু লোকদের সাথে নিয়ে তার এ কার্যক্রম। তার চাহিদানুযায়ী চাঁদা না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার ও ব্ল্যাক মেইল করে থাকেন।
পরবর্তীতে সরকারী কাজে বাধাদান, মারামারি, চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র বেচা- কেনা, মাদক দ্রব্য কেনা- বেচা, পরিবহন ও ব্যাহবারের অসংখ্য অভিযোগ দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাক্তি বাদী হয়ে সাইবার আইন সহ প্রায় ১৫টি মামলা দায়ের করেছেন।
বেশ কয়েকটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে, যেমন মতিঝিল থানার মামলা নং ৩৩(০১)২১ এর চার্জশীট আদালতে প্রেরনের পর আদলত বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং উক্ত মামলায় হারুন’কে ৪ (চার) বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদেয় ৩(তিন) মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়।
এ ছাড়াও চট্টগ্রামের আরো দুটি মামলায় সম্প্রতি ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখ সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-২৯৮/২১ নং মামলায় ১০ (দশ) বছর ও ২০ হাজার টাকা এবং ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সাইবার ট্রাইব্যুনাল ২৯৪/২১ নং মামলায় অনুরুপ ১০ (দশ) বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদেয় আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
তিন মামলায় আসামী হারুনের সর্বোমোট ২৫ বছর ৩ মাস সাজা হয়েছে। কতিপয় স্বার্থানেষী সংঘবদ্ধ চক্রের এই প্রধান হারুন অনৈতিক উদ্যেশ্য হাসিলের জন্য পরস্পর যোগসাজশে দেশের শীর্ষ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও ব্ল্যাক মেইলিং এ লিপ্ত রয়েছে।
হারুন দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, নামী-দামী ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবিসহ প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিদের টার্গেট করে ব্ল্যাক-মেইলিং এর মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অর্থ আত্বসাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। বডি বিল্ডার্স হারুন ব্ল্যাকমেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনের অনুমতি ব্যতীত তাঁর ছবি ও নাম ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত ভাবে ডিজিটাল ডিভাইস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি খুলে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, উস্কানিমূলক, আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর পোষ্ট, ছবি প্রকাশ ও লিংক শেয়ার করে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জনের নামে সামাজিক ও ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা (২০১৮) আইনে মতিঝিল থানায় ২৭/২৩-নং মামলা দায়ের করা হয় মর্মে জানান মতিঝিল থানার ওসি।
এবিষয়ে বডি বিল্ডার হারুন অর রশিদ হারুনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি এবং মেসেজ দিয়েও কোন উত্তর মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার) হারুন অর রশিদ জানান, অপরাধ যেই করুক, আইনের আওতায় আনা হবে। যেহেতু সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।