বিডিসি ক্রাইম বার্তা ডেস্কঃ সাধারণত ডেজার্ট বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে কিসমিসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কিসমিসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলেছেন স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর। পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর বলেন, কিসমিস অনেক সময় পোলাও-কোরমাতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
শুধু সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নয়, এতে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। ড্রাই ফ্রুটস হিসেবেও আমরা কিসমিস খেয়ে থাকি। তাই এটিকে ড্রাই ফলের রাজাও বলা হয়ে থাকে। কিসমিসে যেহেতু প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, তাই এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কিসমিস যদিও ছোট সাইজের, এতে প্রচুর ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে।
নুজহাত মঞ্জুর বলেন, কিসমিসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা আমাদের এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা আমাদের চোখের জন্য খুবই ভালো। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, তাঁরা প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় কিছু পরিমাণ কিসমিস রাখবেন।
কারণ, কিসমিসে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা শরীরে খুব দ্রুত অ্যানার্জি দেয়। বাচ্চারা চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির অনেক ক্ষতি করে থাকে, তাই তাদের চকলেটের পরিবর্তে কিসমিস খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন। এতে তাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি আমাদের হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। যেহেতু কিসমিসে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে, তাই এটি অবশ্যই বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীদের কিসমিস পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।#