স্টাফ রিপোটার : ময়মনসিংহে কিছু মাফিয়া সিন্ডিকেট সক্রিয়। পুলিশের নাম ব্যবহার করায় জনমনে আতংক। ময়মনসিংহের ভালুকা , ত্রিশাল, ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলায় মাফিয়া সিন্ডিকেটের অপপ্রচার চলছে বলে জানা গেছে।
মাফিয়া সদস্যরা পুলিশেকে নিষ্কিয় করার কৌশল জানে। পুলিশের আশেপাশে দেখায় যায় তাদের। বেশিভাগ সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের আশে পাশে দেখেছেন অনেকেই।
ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন এরআগে ভালুকা মডেল থানা, ত্রিশাল থানা ও বর্তমানে কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত। তিনি যেখানেই যান সেখানেই ভালুকার মিলন পাঠার নামের এই ব্যক্তিকে দেখা যায়।
মিলন পাঠান নিজেকে ময়মনসিংহ – ৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসনের এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর পুত্র প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইতিমধ্যে ত্রিশাল প্রত্যেকটি ইউনিয়নে সাদা গাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের বলছেন এবারের নির্বাচন পুলিশ করবে, ত্রিশালের ওসি নাকি নৌকার পক্ষে কাজ করছে এমন তথ্য অপপ্রচার করছে।
একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, তার ঘনিষ্ঠজন ওসি মাইন উদ্দিন এর আগে থেকেই ওসি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে লেগে আছেন। ওসি কামাল হোসেন ত্রিশালে আসার পর থেকেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এর নেপথ্যে নায়ক হলেন মিলন পাঠান।
অভিযোগ আছে, ত্রিশালের এমপির পুত্রের দাপট কাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একক রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে মিলন নামের এই ব্যক্তি। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মিলন পাঠান পুলিশের ওসিদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে ত্রিশালে ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসার চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিশাল থানা পুলিশ দেখেও না দেখার ভান ধরে থাকে এর কারণ হলো সাবেক ওসি মাইন উদ্দিনের ঘনিষ্ঠজন তাই। এলাকাবাসী নাম প্রকাশের শর্তে বলেন, নৌকার পক্ষ হয়ে পুলিশের নাম বিক্রিকারি সিন্ডিকেট সদস্য মিলন পাঠানের বসতবাড়ি ভালুকা উপজেলায়। পাকিস্তানী দাবিদার দাউদ ইব্রাহিম স্টাইল! নৌকার হয়ে পুলিশ কাজ করছে এমন ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে ।