মোঃ আব্দুল হান্নান: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জমি থেকে শান্তা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শান্তার পরিবারের দাবি, শান্তাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে। শুক্রবার বিকেল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের ফসলি জমি থেকে শান্তার মরহেদ উদ্ধার করা হয়। শান্তা পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মিনহাজ মিয়ার স্ত্রী ও দাতমণ্ডল গ্রামের শিরু মিয়ার মেয়ে। তবে শান্তার স্বামী মিনহাজের দাবি, সে এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে শান্তার পরিবারের দাবি, শান্তাকে পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে হত্যা করেছে তার স্বামী মিনহাজ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে মিনহাজের সাথে শান্তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিনহাজ যৌতুকের জন্য শান্তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকাও দাবি করতেন। টাকা না দিলে শান্তাকে মানষিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলাও করেন শান্তা। সম্প্রতি আদালত শান্তার পক্ষে রায় দেন এবং ৭ লাখ টাকা জরিমানাও করেন মিনহাজকে। এ নিয়ে মিনহাজ শান্তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন।
জানা গেছে, বুধবার শান্তার চাচি মারা যান। এ সময় শান্তাদের বাড়িতে আসেন মিনহাজ। তিনি শান্তাকে মামলা তুলে নিতে বলেন এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন বলে শান্তা ও তার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন মিনহাজ ও শান্তা। পর দিনই শান্তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েরে যৌতুকের টাকার জন্য মেরে ফেলেছে। আমরা না করছিলাম স্বামী মিনহাজকে যেন বিশ্বাস না করে। আমি আমার মেয়ে হত্যা বিচার চাই।’
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা জানান লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তার বুকের ওপর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।