আহসান হাবীব, স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নারীসহ একই পরিবারের চারজন’কে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলার ৬নং চর আমানুল্লাহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চর বজলুল করিম গ্রামের অমিত চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চরজব্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন চর বজলুল করিম গ্রামের মৃত সংকধর দাসের ছেলে অমিত চন্দ্র দাস (৪৭), তাঁর স্ত্রী পুতুল রানী দাস (৩৭), কলেজ পড়ুয়া ছেলে অপু চন্দ্র দাস (১৭), মেয়ে মিতা রানী দাস (২৪) আহত পুতুল রানী দাস জানান, প্রতিবেশী সমিরের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বিরোধ চলে আসছে, এরই সুত্র ধরে ঘটনার দিন সকাল ১১ টায় সমির মজুমদার (৪৮) ও তার ছেলে দূর্জয় মজুমদার (২২) আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
এসময় আমাকে বাঁচাতে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে অপু চন্দ্র দাস এগিয়ে আসলে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দূর্জয় মজুমদার এলোপাতাড়ি মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে, অধিক রক্ত ক্ষরণে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে অপু চন্দ্র দাস’কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার স্বামী অমিত চন্দ্র দাস এবং মেয়ে মিতা রানী দাস ও আহত হন।
মিতা রানী দাস জানান, বিরোধকৃত জমি আমার শশুরের, আমার স্বামী প্রবাসে থাকে,এই সুযোগে সমির মজুমদার আমার শশুরের জায়গা জমি জবরদখল করে নেয়, এ বিষয়ে বহুবার শালিসী বৈঠক বসেও কোন শুরাহ হয়নি, দূর্জয় মজুমদার একজন নাম করা সন্ত্রাসী, সে আমার ছোট ভাইকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি, ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহি উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, অমিত চন্দ্র দাসের পরিবারের উপর হামলার ঘটনা শুনেছি, তার ছেলে অপু চন্দ্র দাসের উপর জঘন্যতম হামলা হয়েছে, হামলাকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
চরজব্বার থানা পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, আসামী দূর্জয় মজুমদার’কে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করা হয়েছে, সমির মজুমদার’কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।