মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবুঃ সংবাদ প্রকাশের জেরে ঢাকা-১৯ আসনের সদ্য বিজয়ী সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (এমপি) বলেছেন, আমি পিছু হঠার লোক না, সাইফুল পিছু হটার লোক না। ররিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তোপের মুখে সুর পাল্টালেন এমপি সাইফুল’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপানো হয়।
এসময় ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক মুলত করা হয়েছে সারা দেশের মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য। সেখানে হকাররা মহাসড়কের দুই পাশে বসে প্রায় দুই যুগ ধরে সাধারন মানুষের চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত করেছে। তাদের প্রশাসন উচ্ছেদ করে দিয়েছে। আমি বলেছি কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য লাখ লাখ মানুষের চলাচল কোন ভাবেই বিঘ্নিত করা যাবে না। একারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গত ১৮ তারিখে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় আমি উপজেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে হকাররা এসেছিলেন। তারা দাবি জানিয়েছিলেন যে তাদের যেন একটা ব্যবস্থা করা হয়। আমি বলেছিলাম হকারদের পুনর্বাসের ব্যবস্থা অতিসত্বর আমরা করবো। কিন্তু একটি পত্রিকা লিখেছে হকারদের তোপের মুখে এমপি সাইফুল পিছু হটলেন। এই বক্তব্যটা কি সঠিক? মোটেও সঠিক না। আমি সেদিন স্পষ্ট বলেছি, আপনারা যে ব্যবসা করেন সেই ব্যবসার টাকা দিয়ে সংসার চালান, বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ চালান।
একটি নতুন জায়গায় আমরা হকারদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। যেখানে কাউকে এক পয়সাও চাঁদা দিতে হবে না। পত্রিকায় কয়েকজন হকারের বক্তব্য ছাপা হয়েছে। আমি এধরনের কথা কোথায় বলছি যে আমি পিছু হটেছি। পিছু হটার লোক সাইফুল না, স্পষ্ট ভাবে বলছি আমি পিছু হটার লোক না।
তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে সেখানে গুটি কয়েক লোক বসে থাকবে আর আন্দোলনে আমি তোপের মুখে পরবো এধরনের বক্তব্য আপনারা কেন দিলেন? আমি সাংবাদিক ভাইদের বলবো আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন। সেদিনের বক্তব্য অনেক সাংবাদিকের কাছে রেকর্ড আছে।
যারা এই সমাজের ভাল কাজে বিরোধিতা করবে, নানা ভাবে পত্রিকায় অসত্য তথ্য উপস্থাপন করবে আমি কি ধরে নিলে কোথাও অসুবিধা হবে যে, এই অপকর্মের সাথে আপনি জড়িত! জড়িত না থাকলে, আপনার স্বার্থে আঘাত না হানলে আপনি কেন মিথ্যা প্রচার করবেন। দয়া করে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাভারকে সুন্দর একটি সাভার করতে চাই। আমরা সবাই মিলে মিশে ক্লিন সাভার, গ্রীন সাভার করতে চাই। একটি আধুনিক উন্নতমানের সাভার গড়তে চাই। যে সাভারে আরসিসি ড্রেইনসহ উন্নতমানের রাস্তা দেখবেন। মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৯ এর সাবেক সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানসহ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।