শরিফুল ইসলাম,পাবনা থেকেঃ সন্ত্রাসী কায়দায় চলন্ত বাস থামিয়ে ২ জন মহিলা সহ ৪ যাত্রী’কে বেধড়ক পেটালেন পাবনা সদর থানার এসআই মেহেদী হাসান, আহত সবাই ঢাকা সোহরাওয়ার্দী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহত ওই চার যাত্রীর বাড়ী পাবনা আমিনপুর থানা এলাকায়।
ঘটনা টি ঘটেছে রবিবার ভোর রাতে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাংলা স্টার নামক একটি দূরপাল্লা বাসে।
শনিবার রাত ১১ টার দিকে পাবনা শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বাসটি। রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই বাসে কাশিনাথপুর কাউন্টার থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২জন মহিলা এবং দুইজন পুরুষ যাত্রী ওঠে।
এসময় বাসের সিটে বসা’কে কেন্দ্র করে কাশিনাথপুর থেকে ওঠা চার যাত্রী এবং পাশের সিটে বসা পাবনা শহর থেকে ওঠা তিন যাত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি বাসের ভিতরে থাকা অন্যান্য সাধারণ যাত্রীরা সুরহা করার চেষ্টা করলে শহর থেকে ওঠা যাত্রীরা আরও বেপরোয়া হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বাস টি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়,
পরবর্তীতে শহর থেকে ওঠা যাত্রী গুলো টাঙ্গাইলে নামার আগেই মুঠোফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে অস্ত্রধারী ১০ / ১৫ জন লোক রাস্তায় দার করিয়ে রাখে। নির্ধারিত স্থানে বাস টি পৌঁছা মাত্রই বাসের ড্রাইভার’কে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কাশিনাথপুর থেকে ওঠা ওই চার যাত্রী’কে বেধরক মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায়, এমনটাই জানিয়েছেন মারধরের শিকার হওয়া এক যাত্রী।
পরবর্তীতে টিকেটে থাকা ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে খোজ নিয়ে জানা যায়, মারপিট করা শহর থেকে ওঠা ওই যাত্রীদের মধ্যে একজন পাবনা সদর থানায় কর্মরত এস আই মেহেদী হাসান। সে ছুটি’তে ওই বাসে বাড়ি’তে যাচ্ছিল। এবং অপর আরেকজন পাবনা কোর্টের শিক্ষানবিশ মোহরি মীর মুসা। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন মারধরের শিকার হওয়া এক যাত্রী।
দু- একজন পুলিশের এমন অসভ্য আচরণে পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন বাসে থাকা অন্য সব যাত্রীরা । এবিষয়ে পুলিশের ওই এস আই’কে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তারা এদিকে এই ঘটনায় পাবনা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণ হলে ওই পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।