নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ছবি যুক্ত ভোটার হালনাগাত কার্যক্রমে আহছাব উদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা ভোটার করতে তার জীবিত মায়ের নামে মৃত্যু সনদ সহ ভূয়া নিবন্ধন দিয়ে ভোটার হতে সহায়তা করায় নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিন ও ইউপি সচিব আবু হানিফ রাজুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার ( ৯ জুলাই’ ২২ ইং ) রাতে নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নয়াপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিন, ২নং চৈক্ষ্যং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান, আহছাব উদ্দিন, জামাল হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মানান, আয়শা বেগম, ২নং চৈক্ষ্যং ইউপি সচিব মানিক বড়ুয়া, নয়াপাড়া ইউপি সচিব আবু হানিফ রাজুর বিরুদ্ধে মামলা করা করেন।
নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোন রোহিঙ্গা নাগরিক কে ভোটার হতে সহায়তা করিনি আমি। ইউপি সদস্য রোহিঙ্গা নয় নিশ্চিত করার পর প্রত্যায়ন গুলোতে স্বাক্ষর করেছি। আমার ইউনিয়নের সবাইকে আমার পক্ষে চেনা সম্ভব না। ইউপি সদস্যরা নিশ্চিত করার পর আমি স্বাক্ষর করি। তাছাড়া বিগত চেয়্যারম্যানের সনদও ছিল বলে ইউপি সদস্য জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে আহছাব উদ্দিন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হাল নাগাতের যাচাই বাচাইয়ের সময় বিশেষ কমিটির কাছে তার কাগজপত্র জমা দেয়। কমিটি যাচাই বাচাইয়ের সময় তার কথা সন্দেহ জনক মনে হলে সংশ্লিষ্ট ওর্য়াডের লোক জনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই আহছাব উদ্দিনের বাবা রোহিঙ্গা,জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সনদ যাকে বাবা বানিয়েছে তিনি তার জন্মদাতা বাবা নয়। আহছাব উদ্দিনের মা আয়শা বেগমরে দ্বিতীয় স্বামী জামাল হোসেন।
তার মা জীবিত থাকলে ও তার মা আয়শা বেগমের নাম মৃত্যু সনদ করা হয়েছে। পরে নিজে ও স্বীকার করছে বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান। পরে উক্ত রোহিঙ্গা আহছাব উদ্দিন ও তার ভূয়া বাবা জামাল হোসেন কে পুলিশের কাছ হস্তান্তর করা হয় বলে জানান উপজলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
আলীকদম থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৮ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। আটক আহছাব উদ্দিন ও জামাল হোসেন কে আদালতে প্রেরণ করা হয়ছে। বাকী আসামীদের দ্রুত আটক করা হবে।#