• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

সোনাগাজীতে চলাচলের পথরুদ্ধ চার পরিবারকে হয়রানি

রোজি আক্তার হ্যাপি: / ১১০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

রোজি আক্তার হ্যাপি: ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নে চলাচলের পথরুদ্ধ করে চারটি পরিবারকে চরম হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে অত্যাচারী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ২৩দিন যাবৎ পরিবার গুলো চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের আদেশকে উপেক্ষা করে এমন হয়রানি চালাচ্ছেন অত্যাচারী’রা।চরসাহাভিকারী গ্রামের উকিল বাড়িতে এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গুলোর পক্ষ থেকে নূরুল আমিনের স্ত্রী খায়রুন নেছা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উকিল বাড়ির নূর ইসলাম, নূরুল আলম, আনোয়ার হোসেন, বেলায়েত হোসেন, নূরুল আমিন ও মো. হানিফ গংদের সঙ্গে একই বাড়ির মো. ইসমাঈল হোসেন, মো. মানিক ও এনামুল হক গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

২০২১ সালে এপ্রিল মাসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ভূট্টুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং দু’পক্ষের মনোনীত সালিশদারদের মাধ্যমে তর্কিত ভূমি পরিমাপ করে স্ব-স্ব পক্ষের দখল বুঝিয়ে দেন।

গত তিন বছরের অধিক সময় ধরে উভয় পক্ষ ছোটখাটো বিরোধ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও গত ১১মে মো. ইসমাঈল, মো. মানিক ও এনামুল হক গং নুর ইসলাম গংদের চলাচলের পথরুদ্ধ করে করে খুঁটি স্থাপন করে বাঁশঝাঁড় দিয়ে ঘেরা দিয়ে দেন।

দীর্ঘ ২৩ দিন যাবৎ ভুক্তভোগী পরিবার গুলো স্থানীয় সমাজ পতি ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার পাননি।পরে তারা নিরুপায় হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার গুলো ২৩ দিন যাবৎ প্রতিবেশীদের বাগান, বাগিছা ও পানি মাড়িয়ে ধানি জমির আইল দিয়ে চলাচল করে বাজার সওদা করছেন।বাদী খায়রুনভ নেছা বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কোন আদেশও মানছেননা।

তারা অবরুদ্ধ হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মঙ্গলবার চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...