শরিফুল ইসলাম,(পাবনা) থেকেঃ পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের নির্দেশেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র- জনতার গণঅবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করেছিলেন পাবনার ভাঁড়ারার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগিরা।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে এতথ্য জানান গুলিবর্ষণকারী আবু সাঈদ খানকে গুলি এগিয়ে দেওয়া সহযোগী সোহেল খান। এর আগে রবিবার ভােরে পাবনার সদরের নলদাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সোহেল খান গণমাধ্যম’কে জানান, তারা ওইদিন (৪ আগস্ট) পাবনা শহরের গোডাউন মোড়ে অবস্থান করছিলেন কিন্তু এমপি প্রিন্স তখন ফোন করে সাঈদ চেয়ারম্যানকে। এই ফোন পাওয়ার পরই সাঈদ চেয়ারম্যান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শহরের দিকে আসে এবং গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করে। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা শালগাড়িয়া হয়ে পালিয়ে যান।
এর আগে রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল খান হত্যাকাণ্ডের অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র- জনতার শান্তিপূর্ণ গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগিরা এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করে।
এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হোন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হোন। এঘটনায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।