• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

কেরানীগঞ্জে লোডশেডিংয়ের কারনে জনজীবনে অস্বস্তি

সংবাদদাতা / ৮২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কেরানীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর আওতাধীন

বনি আমিন (কেরানীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। যার ফলে এই তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। দিন রাত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এ মহড়া চলছে। প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছে বিদ্যুৎ।

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, বন্দ ডাকপাড়া, মডেল টাউন, আগানগর, আমবাগিচা কালিগঞ্জ, কদমতলী, ঝাউবাড়ি,বেগুনবাড়ী,ও জিয়ানগর ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকায় প্রায় প্রতি এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসে ও চলে যায়।

কদমতলী এলাকার বাসিন্দা ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন জানান, সারাদিন দোকানে কাজ করে রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে তীব্র গরমে ঘুম আসে না। যার ফলে পরদিন দোকানে গিয়ে কাজ করা কষ্টকর হয়ে যায়। এ ছাড়াও আমার বাসায় বাচ্চাদের ও বয়স্ক মার গরমে সারারাত ঘুমাতে পারে না। দ্রুত এ ভোগান্তির থেকে রেহাই চাই আমরা সাধারণ গ্রাহকরা

কালিগঞ্জের অনেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় গার্মেন্টসগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছে না। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ, তার ওপর বিদ্যুৎতের ভোগান্তি।সামনে শীতের মওসুম শুরু হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শীতের কাপড়ের সঙ্গে জড়িত গার্মেন্টসগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসুদ আরও জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে এবং সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করতে পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে, যা তাদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়িয়ে তুলছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

কেরানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর এলাকা হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এলাকা ছিল। সারা দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা থাকলেও কেরানীগঞ্জে বিশেষ লোডশেডিং হতো না। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে কেরানীগঞ্জে ৩০-৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগত করেছি, সারা দেশে কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় কেরানীগঞ্জসহ সারা দেশেই লোডশেডিং বেড়েছে। কেরানীগঞ্জ ঘনবসতি বিদ্যুতের চাহিদা অত্যন্ত বেশির, কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হয় এবং আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি, তা অনুযায়ী প্রতি এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। এ সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের মতো শিল্প কলকারখানা এলাকায় দীর্ঘ সময় লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ এবং শিল্প খাত উভয়ই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তাই দ্রুত এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...