নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই, যে দেশ অন্য কোনো দেশের অধীনতা মেনে নেবে না। পৃথিবীর অন্য দশটা দেশ যেমন মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে।
বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে, কিন্তু আমরা কোনো প্রভু মেনে নেব না। কেউ আমাদের ওপর প্রভুত্ব করতে আসলে জাতি তাকে তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবে। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শহরের ট্যাংকেরপাড়ে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই—যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যদি একটি মানুষও অর্থের অভাবে দারিদ্র্যতার কারণে ফুটপাতে ঘুমায়—সেটি রাষ্ট্র সহ্য করবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে প্রত্যেকটি দরিদ্র এবং বঞ্চিত নাগরিককে তার আশ্রয়ের নিশ্বয়তা প্রদান করা। যেন মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে কিছুদিন আগে সরকারি আশ্রয়ন তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় তৈরি করার আগেই এটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এটি ছিল জনগণের চোখে ধূলা দেওয়ার শামিল। স্বস্তা জনপ্রিয়তার ফাঁদ দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার শামিল।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, অনেক দুঃখ-বেদনা আমাদের অন্তরে আছে। আমাদের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারাদেশে অফিস সিলগালা করে রাখা হয়েছে। আমরা এক মুহূর্তের জন্যও অফিসে ঢুকতে পারিনি। অন্যায় ভাবে আমাদের নিবন্ধন বাতিল এবং প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা সরকার গণ আন্দোলনের মুখে জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য আমাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্যকোনো দলের ওপর এমন যন্ত্রণা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছিলাম এতো এতো জুলুমের প্রতিশোধ জামায়াত নেবে না। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না।জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।