• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক আওয়ামীপন্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় ময়মনসিংহের ওসি সফিকুল ইসলাম ভাড়া বাড়িতে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যুবদল নেতা হত্যা মামলায় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী কারাগারে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে হচ্ছে কমিটি, আন্দোলন স্থগিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো অর্ধশত ফিলিস্তিনি নিহত

আইনজীবীকে বিচারপতির হুমকি, বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি

সংবাদদাতা / ২৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব  প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের আইনজীবীর সঙ্গে এক বিচারপতির অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ভেঙে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ৫০০ আইনজীবীর সই করা অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে বিচারপতি আতাউর রহমান খানকে সরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তার স্থলে বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি কাজী জিনাত হক।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন কয়েকজন আইনজীবী।সেখানে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের ৭ নম্বর বেঞ্চে (মূল ভবন) ভ্যাকেশন এখতিয়ারাধীন শুরু থেকেই মামলার কার্যতালিকা তৈরি ও শুনানিতে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো নিরসনের জন্য আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

আজ সকালে মেনশনের সময় আইনজীবীরা ও আইনজীবীদের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। তিনি আদালতকে সম্মানের সঙ্গে শুরুতেই অ্যাপোলজি প্রার্থনা করে বলেন, ‘আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা অনিয়ম করে সকল জমাকৃত মামলা ঠিকমতো দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন।’

উত্তরে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ওই আইনজীবীকে ক্ষিপ্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘আমি বারের নেতা ছিলাম। তোমাকে কে সাহস দিয়েছে, আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, তোকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে দেবো।’এ সময় আদালতে অবস্থানরত আইনজীবীরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করলে তিনি এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর ৫০০ আইনজীবীর সই সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় প্রধান বিচারপতি বরাবর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...