• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন

গজারিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ / ১৬ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টায় কাজে যোগ না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে হাজারের বেশি শ্রমিক।

এ সময় কোম্পানির পক্ষ থেকে কয়েকজন আন্দোলন কারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ধাওয়া দেয় শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন।

খবর নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন কারণে এই কোম্পানির শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এর মধ্যে গত ১০ অক্টোবর কোম্পানি কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

শ্রমিকদের দাবি, সরকারি ঘোষণা উপেক্ষা করে বন্ধের দিন কারখানা খোলা রাখা এবং একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছুটি না দিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তাকে হাসপাতালে না নিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায় সেই শ্রমিক।

এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। এরপর থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে স্বপন মিয়া বলেন, ‘কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করে তা অমানবিক। সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করে না তারা। জোর করে শ্রমিকদের ওভারটাইম করতে বাধ্য করা হয়। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে দেওয়া হয় না। বিভিন্ন কারণে বাধ্য হয়ে ২১ দফা দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পর আমরা ছুটে আসি। মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি আমরা। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি, প্রয়োজনে তাদের পক্ষে আমি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু তারা আমার কথা শুনছে না।’

এ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মাসুম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কথা বলার অবস্থায় নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।’

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে আসেন গজারয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার। আন্দোলন কারী শ্রমিকদের তিনি মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

এদিকে দীর্ঘ সময় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাজারিয়া অংশে অন্তত ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...