• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

তহশিলদার সোবহান এর দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ১২৭ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুস সোবহান ও পিয়ন  আসাদুল বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসব অভিযোগের প্রতিবাদ করায় ওই কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা অনেক।

ভুক্তভোগীরা বলছেন , শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই তহশিলদার সোবহান সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এখানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুস দেওয়ার পরও কাজ হয় না।

সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে  নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘুস- দুর্নীতির মহোৎসব প্রকাশ্যেই চলছে শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এছাড়া ও বন্ধের দিন শুক্রবার ও শনিবার   সহ প্রতিদিন অফিস চলে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত।

এই অফিসে তহশিলদার সোবহান এর অনিয়মই নিয়ম। সরকার কর্তৃক ভূমি খারিজের ফি এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও খাজনার দাখিলার জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ) সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু রসিদ দেওয়া হয় সরকারি হিসাবেই। এভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা।

দৌরাত্ম্য বেড়েছে দালাল সিন্ডিকেটের ও। দালাল চক্রের  মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে টাকা নেওয়া হয়। তহশিলদার সোবহান  তার লালিত মোঃদুরুল হোদা মিচু, মোঃ কাইয়ুম রেজা,মোঃ নজরুল ইসলাম সহ একটি দালাল চক্র। কেউ নামজারি করতে চাইলে এই রেট অনুযায়ী টাকা দিয়েই করতে হবে। জমির খারিজ পেতে হলে  নিম্ন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গুনতে হয়। নইলে জমির কাগজপত্র সঠিক থাকলেও মেলে না নামজারি বা মিউটেশন।  আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি পাঁচগুণ টাকাও আদায় করছেন। সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে এবং দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। পরিস্থিতির শিকার হয়ে সোবহানের ‘আইন’ মানতে বাধ্য হন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

কয়েক দিন আগে অত্র এলাকার একজন ব্যাক্তি জমি খারিজ করতে গেলে তার নিকট ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ চাই সোবহান। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ভূমি মালিক বলেন, তার দাবিকৃত ঘুষের অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নানা টালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন সোবহান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়- সবকিছু অনলাইনভিত্তিক হলেও জমির পর্চা (খসড়া) তোলাসহ সব কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এছাড়া ও ২১ অক্টোবর রাত ৮ দিকে দালালদের সহায়তায় দেদার সে চলছে অফিস। গণ মাধ্যমের উপস্থিতি টেরে  পেয়ে প্রতিবেদকে প্রতিবেদন না করতে উৎকোচ প্রদানের চেষ্টা করে। পরর দ্রুত অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। নিরীহ ভুক্তভোগীদের দাবি, এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের হস্তক্ষেপ জরুরি।

অভিযোগের বিষয়ে তহসিলদার সোবহান এর কাছে জানতে তাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলবো না, যা বলার আমার এসিল্যান্ড স্যার বলবেন। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান বলেন ভূমি অফিস দালাল, ঘুস, দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ । এ বিষয়ে  অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করব এবং প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...