রিফাত আরেফিনঃ ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে যশোরের বাঘারপাড়ার খানপুরের হোমিও চিকিৎসক মামুন মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই গ্রামের মোক্তার মোল্যার ছেলে সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা অভিযোগের তদন্ত করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি মামুন একই গ্রামের আব্দুল বারেক মোল্যার ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন অসুস্থ হলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খানপুর বাজারের মামুন হোমিও হলের চিকিৎসক মামুনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার মামুন রোগীর কাছে শুনে কোন পরীক্ষা ছাড়াই ওষুধ দেন। ওই ওষুধ খাওয়ার পর রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি ডাক্তার মামুন’কে জানালে তিনি নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। এক পর্যায়ে রোগীর সারা শরীর ফুলে যায়, শ্বাস- প্রশ্বাসে কষ্ট হয়।
পরদিন রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর শহরের একটি হাসপতালালে ভর্তি করা হয়। সে খানে চারদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ হন রোগী। ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী’কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগে হোমিও চিকিৎসক মামুন মোল্যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন সহিদুল ইসলাম।