সাভার (ঢাকা): দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। এ জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ঢাকার সাভারের অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি কার্যক্রম চলেছে। সেখানে ইতিমধ্যে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়ের দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভালোবাসা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এদিন শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন। বিজয় দিবস ঘিরে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে দেওয়া হয়েছে এক নতুন রূপ। উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্মৃতিসৌধের নানা স্থানে নতুন করে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শহীদ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৌধে প্রবেশের ফটকগুলো খুলে দিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল নামবে সৌধ প্রাঙ্গণে। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে বেদি।
দিবসটি যাথযথভাবে উদযাপনের জন্য বরাবরের মতো এবারও পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের টানা ১৫ দিনের পরিশ্রমে সৌধপ্রাঙ্গণ পেয়েছে নতুন রূপ। ধোয়া-মোছা শেষে সিঁড়িসহ অন্যসব স্থাপনায় পড়েছে রং-তুলির আঁচড়। বাহারি ফুল গাছে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বেদির সবুজ চত্বর।
বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, সৌধপ্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পুরো সাভার এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। দিবসটি উপলক্ষে তিন হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুরো সাভারজুড়ে মোতায়েন থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই উর্ধতন কর্মকর্তা। নিরাপত্তা চৌকির পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে বলে জানান তিনি।