নিজস্ব প্রতিবেদক: দাবি পূরণের আশ্বাসে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৩০ ঘণ্টার ভোগান্তির পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ভোরে কমলাপুর থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। ৮টার দিকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস। এরপর ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে মধুমতি এক্সপ্রেস এবং ৭টায় বনলতা এক্সপ্রেস।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক-সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তারা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। সে কারণে মঙ্গলবার দিনভর সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। স্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন আগাম টিকেট কাটা শত শত যাত্রী। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের ভাঙচুর, স্টেশন মাস্টারকে আটকে রাখাসহ নানা ঘটনাও ঘটে।