বরিশাল প্রতিনিধিঃ- প্রেমের সম্পর্ক গড়ার পর প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিবাহিত প্রেমিক মহারাজ মল্লিকের নামে। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে জানা যায়, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অর্থের লোভ দেখিয়ে মিথ্যা প্রলোভনে চুমকি আক্তারকে (১৭) দীর্ঘ ৪ বছর যাবত সম্পর্কের মধ্যে যৌনতার অপব্যবহার করে আসছে ঝালকাঠি কাঁঠালিয়া উপজেলার ২ নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন জোড়খালি গ্রামের নতুন বাজার সংলগ্ন মল্লিক বাড়ির ছেলে প্রতারক বিবাহিত মহারাজ মল্লিক (৪২)।
সর্বশেষ ২২ই আগষ্ট সোমবার মহারাজ মল্লিকের ফুফাতো বোনের বাসায় তুলে নিয়ে চুমকি আক্তারকে বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত অবলম্বন করে এবং হুমকি-ধমকিসহ মানহানীর কথার প্যাচ দিয়ে জোরপূর্বক যৌনতায় ব্যবহারের শিকার করে গোপন রাখতে বলে। তাৎক্ষণিক ওখান থেকে চুমকি আক্তার ভীতিকর অবস্থায় আসার পথে মহারাজ মল্লিকের স্ত্রী তার পথ আটকিয়ে দু’জনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তাকে মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন- কানের ধুল ছিনিয়ে নিলে রক্তাক্ত হয়ে পরেন।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তার পরিবারকে খবর দিলে তার মা আহাজারি করে জনপ্রতিনিধির পরামর্শে থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় এ অবস্থায় দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে রাখা হয়। এ বিষয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বাসিন্দারা জানান, আমরা যতটুকু শুনেছি ঘটনাগুলো সত্য। তাকে মারধর করা হয় এটার ভিডিও পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি। এবং আর-ও শুনছি তাকে এইদিনই দুইবার ধর্ষণ করে। এ নিয়ে এলাকার লোকমুখে কথার ছড়াছড়ি। আসলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না।
ঝালকাঠি কাঁঠালিয়া থানার ওসি বলেন, আমাদের কাছে আসলে আমরা চুমকি আক্তারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠাই। অভিযুক্ত ধর্ষক মহারাজ মল্লিক ধর্ষণের কথাটি অস্বীকার করে বলেন, তেমন কিছু হয়নি, আমরা পারিবারিকভাবে মিমাংসায় যেতে চাচ্ছি। আসলে আমার স্ত্রীর সামনে ও তখন আমার সাথে কথা বলছিলো তারজন্য হাতাহাতি হয়েছে।#