সঞ্জয় দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় চাষীরা সেচ চালিত পাম্প ব্যবহার করে আমন ধান রোপন করছে। ২৫ জুলাই (সোমবার) দুপুর ২ টায় বালাপাড়া ইউনিয়নে সরে জমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি, খড়ার কারনে চাষীরা আমন ধান রোপন করতে পারছে না। মাঝে মাঝে আকাশের বৃষ্টি নামলেও তাতে কোন উপকার হচ্ছে না চাষীদের।
উপজেলার দশটি ইউনিয়নেই এই একই অবস্থা। এরকম পরিস্থিতিতে চাষীরা চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এবারের আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় স্থানীয় চাষীরা উপায় না পেয়ে বৈদ্যুতিক মটর ও ডিজেল চালিত সেচ পাম্প দিয়ে কৃষি জমিতে পানি তোলার চেষ্টা করছে। অনেকে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছে, শ্রমিকরা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠিয়ে জমিতে রোপন করছে, কেউ জমিতে মই টানছে আবার কেউ কোদাল দ্বারা আইল ছাটানোর কাজ করছে।
স্থানীয় চাষী মিজানুর রহমান বলেন, এখন আকাশের বৃষ্টি প্রয়োজন এই সময় তীব্র খড়া, গত বছরের চেয়ে এবারে কম বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা। বৈদ্যুতিক মটর ও ডিজেল চালিত সেচ পাম্প দিয়ে চাষাবাদে এবছর খরচ বেশি হবে। ট্রাক্টরের ভাড়া, শ্রমিকের দাম, সার, কীটনাশক সহ সেচমুল্য উর্দ্ধগতি। অতিরিক্ত ব্যয় করে আমন ধান চাষাবাদ করে চাষীরা আমন ধানের নার্য্য মুল্য না পায় তাহলে চাষীদের অপূরনীয় ক্ষতি হবে।
বালাপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় জমিতে আমন ধান রোপন করব, কিন্তু আকাশের বৃষ্টি নেই, বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহার করে জমিতে পানি উঠাতে হচ্ছে। এদিকে আকাশের পানি নেই, সেচের পানি দিয়ে জমি তৈরী করছি, অন্যদিকে শ্রমিক সংকট। এক বিঘা (৩০ শতাংশ) জমি রোপনে শ্রমিকদের ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে যা গত বছরের চেয়ে এবারে রোপন খরচ দ্বিগুন।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা ৮নং ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে আকাশের বৃষ্টি নেই । আমরা কৃষকদের সেচ পাম্প ব্যবহার করে আমন রোপনের পরামর্শ দিচ্ছি।#