মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মুন্সিগঞ্জে রাজনৈতিক ভাবে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ- বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ দেড়শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। এর রেশ ধরেই স্থানীয় নব্ব আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ফ্যাক্টরীতে আগুন ধরিয়ে তিনটি বাড়িঘর পুরে ছাই করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুন্সীগঞ্জ পঞ্চসার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মিরেশ্বর গ্রামের বিএনপি’র নেতা নিজাম মেম্বারের ফ্যাক্টোরিসহ তিন পরিবারের বাড়ীঘর আগুনে পুরে গেছে। অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যেই ফ্যাক্টরীসহ তিন বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করলেই মাসুদ, মুসা ও তোফাজ্জলসহ অপর তিনজনকে পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে আসার প্রমাণ পাওয়া যাবে কলে দাবী করেছেন নিজাম উদ্দিন মেম্বার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ সব তথ্য জানায় ফ্যাক্টরীর মালিক নিজাম উদ্দিন। কারখানার শ্রমিকরা জানান, রাত অনুমানিক ১ টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পান এর পর ফায়ার সার্ভিস কে ফোন করলে তারা ২টায় ঘটনা স্থালে পৌঁছে সারে ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয়রা আরো বলেন, এই আগুনে ফ্যাক্টোরি ছাড়া যাহাদের ঘরগুলো পুরে ছাই হয়েছে তারা হলেন সাজেদা বেগম (৪৫) স্বামী রমজান, স্বপন (৫০) পিতা পিতা হেলাল উদ্দিন, মোকলেছ (৫০) পিতা চান শরিফ মাদব্বর সকলের বাড়ি মুক্তারপুরের মিরেশ্বরাই।
ফ্যাক্টোরির মালিক নিজাম মেম্বার জানান, গভীর রাতে ঐ ফ্যাক্টোরিতে আগুন লাগানোর জন্য ১৫ জনের একটি বাহিনী এই ঘটনা ঘটাতে পারে। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় মাসুদ (৪০) পিতাঃ জুলহাস, মুছা (৪১) মৃত সবুজ ও তোফাজ্জল (৪৩) উভয় সং মুক্তারপুর, পঞ্চসার-মুন্সীগঞ্জ। তিনি আরো জানান, তিন জন পুলিশের পোশাক পরা ছিলো বলে ফ্যাক্টোরির পাশে বাড়ির রমজানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করলেই দেখা যাবে। আমি ঢাকায় আছি মুন্সীগঞ্জে এসে থানা অভিযোগ দাখিল করবো।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন সদস্য সাজেদা জানান, আমার ২ ভড়ি স্বর্ণ, নগদ ২০ হাজার টাকা, ঘরের সকল আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু মাত্র পরনের কাপুড় ছাড়া আর কিছুই নাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন সাজেদা বেগম। এখন আমার কি হবে? আমি কি খেয়ে বাঁচবো? যা ছিলো সব পুরে ছাই এমন প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসার আব্দর রাকিব বলেন, মুন্সীগঞ্জ ও কমলাঘাট ২ টি ইউনিটের ১ ঘন্টা প্রচেষ্টায় ৩ টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ৪ টা ২০ মিনিটে কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অফিসার আব্দুর রাকিব জানান বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত একটি সুতার কারখানা ৩টি টিনের ঘর নগদ অর্থ সহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা এবং ৮০ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা অফিসার ইনর্চাজ তারিকুজ্জামান বলেন, আমি অসুস্থ্য আছি, এই বিষয় কিছু বলতে পারবোনা। মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে যদি হয়ে থাকে তবে ফুটেজ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে মাসুদ মুসা ও তোফাজ্জল যদি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মো: সাহাব উদ্দিন মিন্টু বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত চৌদ্দ পনের জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।#