নাইজেরিয়ায় দুটি পৃথক বন্দুকহামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সপ্তাহে দেশটির উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় বেনু রাজ্যে ঘটেছে এসব হামলার ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেনু রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র ক্যাথরিন অ্যানেন বলেছেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকালের মধ্যে এমগবান স্থানীয় সরকার এলাকায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি ক্যাম্প থেকে ২৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কী কারণে এই হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা হঠাৎ উপস্থিত হয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। এর আগে, গত বুধবার একই রাজ্যের ওটুকপো স্থানীয় সরকার এলাকার প্রত্যন্ত উমোগিদি গ্রামে পৃথক একটি বন্দুকহামলার ঘটনা ঘটে। ওটুকপোর চেয়ারম্যান বাকো ইজে বলেছেন, ওইদিন সন্দেহভাজন পশুপালকরা একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হাজির গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়।
রাজ্য গভর্নরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পল হেম্বা বলেছেন, বুধবারের হামলার পর ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নাইজেরীয় প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি শনিবার এক বিবৃতিতে বেনু রাজ্যে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রায়ই বিপদসংকেত পাঠানো হলেও নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছাতে অনেক বিলম্ব হয়। এর ফলে বহু হামলার খবর শেষপর্যন্ত প্রকাশ্যে আসে না। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর একটি বেনু। সেখানে কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে ভূমি ব্যবহার নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চলে। এই বিরোধের সঙ্গে অনেক সময় জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজনও জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় পশুপালনকারী কৃষকরা তাদের গবাদি পশু চরানোর কৃষিজমি নষ্ট করার জন্য যাযাবর পশুপালকদের দায়ী করে থাকেন। এই দ্বন্দ্ব প্রায়ই অনানুষ্ঠানিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং প্রতিশোধমূলক আক্রমণে রূপ নেয়।
সূত্র: আল-জাজিরা