• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

লৌহজংয়ে বৃদ্ধর দ্বারা, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

সামাদ হাওলাদার, লৌহজং থেকেঃ / ১৮৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

সামাদ হাওলাদার, লৌহজং থেকেঃ

মুন্সীগঞ্জ লৌহজং গাওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের মৃত মঞ্চু বেপারীর ছেলে নুর আলম বেপারী (৫৫) দ্বারা একই গ্রামের রুবেল শেখের মেয়ে, সানজিদা আক্তার (১৪) কে ধর্ষণ করে আত্মঃসত্ত্বার অভিযোগ উঠেছে। বিষয় টি নিয়ে সোমবার (২৪ এপ্রিল) লৌহজং থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে আভিযোগ দায়েরের বিষয় টি নিশ্চিত করেন। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও পরিবার সূত্র যানাযায়, উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের মৃত মঞ্চু বেপারীর ছেলে নুর আলম বেপারী (৫৫) গত বছর (২০২২) সেপ্টেম্বরে, সানজিদা আক্তার বিলের ধারে শাক তুলতে গেলে, নুর আলম বেপারী, কিশোরী সানজিদা আক্তার কে (১৪) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী খিদিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেণীর ছাত্রী, লোক লজ্জার ভয়ে বিষয় টি চেপে যায়, পরবর্তীতে নানা ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ অব্যাহত রাখে লম্পট নুর আলম বেপারী, এতে সানজিদা আক্তার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সানজিদা তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। মেয়েটির পরিবার গাওদিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইকবাল শিকদার কে ঘটনার বিষয়ে খুলে বললে তিনি কিশোরীর বাবাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।

এব্যাপারে লৌহজং থানার এস আই আবু বকর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান। নির্যাতিতা সানজিদা আক্তার (১৪) এর বাবা রুবেল শেখ বাদী হয়ে নুর আলম কে আসামি করে সোমবার থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করলে, তা আমলে নিয়ে নথিভুক্ত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নুর আলম বেপারী (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব সিকদার বলেন, লম্পট নুর আলম ব্যাপারীর নামে এর আগেও একাধিক মেয়েদের সাথে কুকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে গাওদিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার, ইকবাল সিকদার জানান। ধর্ষণের বিষয় টি মেয়ের পরিবার আমাদের জানালে, অভিযুক্ত নূর আলমকে জিজ্ঞাসা করা হয় সে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। তখন আমরা কিশোরী ও তার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য থানায় পাঠিয়ে দেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...