আহসান হাবীব, স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর বাগ্যা গ্রামের সমিতির বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে চাঁদার দাবীতে ছুটিকাঘাতের ঘটনায় একই এলাকার রবিউল হক মাঝি’র পুত্র মোঃ হেলাল (২৮) ও মৃত মফিজুল হক সারেং এর পুত্র সামছুদ্দিনকে (৫০) আটক করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ। ছুটিকাঘাতে আহত যুবক মৃত ইব্রাহিমের পুত্র, জিয়াউর রহমান (২৬। এ ঘটনায় আহতের বড় ভাই অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, উত্তর ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত গোলাপের রহমানের পুত্র আজাদ (৪৮), নিজাম উদ্দিনের পুত্র নাজিম (৩০), মৃত ছিদ্দিক উল্যাহর পুত্র রাসেদ (৩০), রিদন (২৫), রুহুল আমিনের পুত্র ফারুক (২৮), মৃত শাহজানের পুত্র হাবিব উল্যাহ (২৮), রায়হান (২৬), , নুর আহম্মদের পুত্র আব্দুর রহিম (২৩), হোরন এর পুত্র জসিম (৩০)। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের ১০১ নং ওয়ার্ডের ১ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জিয়াউর রহমানের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন তার ভাই ছাত্রলীগের উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক, লোকমান হোসেন সাগর।
মোঃ শাহজাহান বলেন, আজাদ গত নির্বাচনে আমার সাথে হেরে গিয়ে বহুবার আমার এবং আমার পরিবারের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো, আমার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান, হারিছ চৌধুরী বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সে গত ২৪ এপ্রিল (সোমবার) ব্যবসার কালেকশন শেষে রাত ১০ টাই সমিতির বাজার পৌঁছালে আসামীরা তার কাছে চাঁদা দাবী করে, সে চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে, পেটের ২ পাশ এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে, এবং তার সাথে থাকা নগদ টাকা এবং তার ব্যবহারিত মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন, অবস্থা আশংকা জনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক।
চরজব্বর থানা অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাস বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।