বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ থেকেঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ৮ জুলাই রাত সাড়ে তিনটায় মডেল টাউন থানাধীন জিয়ানগর এলাকায় অটো চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সোমবার ১৭ জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস এন্ড ট্রাফিক দক্ষিন) আমিনুল ইসলাম।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানান, গত ৮ তারিখ রাতে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ খবর পায় মডেল থানাধীন জিয়ানগরে রিপন হাজীর মার্কেটের সামনে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে মডেল থানার একটি টিম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে এবং মৃত দেহটি শনাক্ত করে সুরতহাল রিপোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কালু মাতবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীদের বিরুদ্ধে ৮ জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে হত্যা রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষে মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান, উপপরিদর্শক অলোক কুমার দে, মোঃ রয়িাজুল ইসলাম এবং সহকারী উপপরিদর্শক মোঃ আরামিন কাজ শুরু করে। তদন্তকারী টিমটি ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই ও তদন্ত করে আসামীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস এন্ড ট্রাফিক দক্ষিন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবীর ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদের নির্দেশে তদন্তকারী টিমটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়নের বন্ধু মো: রবিন(২৩), মো: সজিব (২৪), রিয়াজ (২২) , মনির (২২) কে গ্রেপ্তার করে।
তাদের গ্রেপ্তারের পরে জিঞ্জাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার দিনে নিহত নয়ন তার বন্ধুদের মধ্যে মাদকের পাওয়না টাকা ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নয়ন বাঁচার জন্য দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে পাশের জয়িানগর রিপন হাজির মার্কেটের সামনে এসে পড়ে যায়। এরপর ঘাতকরা নয়নের মৃত্যু নিশ্চত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল এ এস পি শাহাবউদ্দিন কবির, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামনুর রশীদ, পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ খালেদুর রহমান, পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ আশিকুর রহমান মুন্সি,এস আই অলোক কুমার দে, এস আই রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।