দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাতটি শর্তে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এসব ইলিশ রপ্তানি করবে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক চিঠি অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে পাওয়া আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নামের নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।
রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পণ্যের কায়িক পরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ই-মেইল করতে হবে, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, প্রতিটি পণ্য চালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এসোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে, এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য না। অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।
জানা গেছে, দুর্গাপূজা সামনে রেখে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে এক আবেদনে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে।
গত বছর পূজার সময় ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টন। আগের বছরগুলোতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। অনুমোদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।
রপ্তানি শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এবারও ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতবার যে-সব প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকে নির্ধারিত পরিমাণ মাছ রপ্তানি করতে পারেননি। অনেকে একেবারেই রপ্তানি করতে পারেননি। মাছ রপ্তানির বিষয়টি মূলত কি পরিমাণ মাছ ধরা পড়ল সেটির ওপরে অনেকটা নির্ভর করে। তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা দেখে অনুমতি দিয়েছি।