শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে নয়াদিল্লির কথিত জড়িত থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ভারতকে অনেক আগেই সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অটোয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো একথা জানান।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আমি পার্লামেন্টে যা বলেছি, সে বিষয়ক গোয়েন্দা তথ্য আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতকে দিয়েছিলাম।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি খুবই গুরুতর এবং আমরা এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আশা করছি, ভারত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতা করবে।
চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদীপ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় জনপ্রিয় শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে। এ সংক্রান্ত নথি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একইসঙ্গে, কানাডার ভেতর নিজ নাগরিকের হত্যার পেছনে বিদেশি কোনো সরকার জড়িত থাকলে তা দেশটির সার্বভৌমত্ব বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মন্তব্য করেন ট্রুডো।
পার্লামেন্টে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রুডো আশা করেন ভারত সরকার এ বিষয়ে তাদেরকে সহায়তা করবে।
তার এই বক্তব্যের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। কারণ, এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
ভারতের অভিযোগ-কানাডা সুনির্দিষ্টভাবে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রদান করেনি। জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছে করেছে ভারত।