শরিফুল ইসলাম, পাবনা থেকেঃ এমবিবিএস ডাক্তার না হয়েও রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন বাধেররহাট বাজারে অবস্থিত মা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী প্যারামেডিকেল কোর্স করা আশরাফুল আলম চৌধুরী।প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আশা সহজ সরল গরিব অসহায় ব্যক্তিদেরকে বড় ডিগ্রিধার ডাক্তারের পরিচয়ে তিনি অবাদে করে যাচ্ছেন তার চিকিৎসা ব্যবসা।
এ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের ন্যূনতম ধারনা না থাকায় প্রতিনিয়তই সহজ সরল মানুষ গুলো চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারিত হচ্ছেন। উক্ত বিষয়ে আশরাফুল আলম চৌধুরীর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জোর গলায় বলেন, আমি আমার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি আমাদের সমিতির সভাপতির সাথে কথাবার্তা বলেই।
তাছাড়া আমার কোন ডাক্তারীর ডিগ্রি আছে কিনা তা যাচাই- বাছাই করবেন আমাদের সিভিল সার্জন যিনি আছেন তিনি। এ সম্পর্কে আপনাদেরকে আমি বেশি কিছু বলতে পারবো না। এক সময় আমি ডাক্তার পদবী লাগিয়ে ভিজিটিং কার্ড প্যাড ব্যবহার করেছি এখন আর করি না অতএব আমাকে ধরার কিছুই নেই।
পরে বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে মুঠোফোনে কথা বলা হয় বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের সাথে তিনি জানান একজন প্যারামেডিকেল কোর্স করা ব্যক্তি কখনোই ডাক্তার পদবী লাগিয়ে অবাধে চিকিৎসা দিতে পারেন না। এটা যদি করে থাকে তবে অবশ্যই অপরাধ। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাছাড়া একজন প্যারামেডিকেল কোর্স করা ব্যক্তি সব ধরনের রোগীর চিকিৎসা দিতে পারবেন না। যেগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা শুধুমাত্র সেই ধরনের চিকিৎসায় ই তিনি দিতে পারবেন এটা তার জন্য বৈধ। অথচ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নামের আগে ডা: পদবী লাগিয়ে বড়সড়ো সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তার চিকিৎসালয় প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ রোগীকে তিনি অবাধে সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে তার দোকানে থাকা ওষুধ গুলো লিখে সেদিক থেকেও সে আলাদা ভাবে লাভবান হচ্ছেন।
উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা। শুধু আশরাফুল আলম চৌধুরীই নয় এরকম আশরাফুল আলম এর মতো বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের চিকিৎসা সেবার নামে লাভ- জনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতিনিয়তই ঠকিয়ে যাচ্ছেন। এদের বিরুদ্ধে এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশের চিকিৎসাখাত হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন সচেতন ব্যক্তিরা।