নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের নড়াগাতি থানার পাখিমারা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এক নারীকে ভাড়া করে রাতভর অসামাজিক কার্যকলাপ করার পরে ভাড়ার টাকার দ্বন্দ্বে ঐ নারী খদ্দের কতৃক মারপিটের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বর ( শনিবার) দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী জেলা গোপালগঞ্জ থেকে একজন নারীকে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ভাড়া করে আনে পাখিমারা গ্রামের ছিরু খানের ছেলে টুটুল খান।
পরে টুটুল খানের ভাই আমিনুর খানের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান ঐ নারীকে। পরে টুটুল তার সহযোগী একই গ্রামের আলু ব্যাবসায়ী মিঠু শেখের ছেলে ফারুক সহ আরো দুইজনকে ডেকে আনে। টুটুল, ফারুক সহ ৪ জন রাতভর ঐ নারীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে।ভোররাতে ঐ নারী তার ভাড়ার টাকা চাইলে তখন শুরু করে তালবাহানা।
এক পর্যায়ে ঐ নারীকে মারপিট শুরু করলে ভুক্তভোগী নারী চিৎকার শুরু করলে পাশের বাড়ির নজরুল খানের স্ত্রী শুনতে পেয়ে এগিয়ে যান। এসময় ঐ নারী দৌড়ে নজরুল খানের বাড়ি উঠে। ঐ নারীকে টুটুল ধরে আনতে গেলে নজরুল বাধা দিলে নজরুলকে মারপিট করে চলে যায়।পরবর্তীতে নজরুল মহিলা মেম্বারের স্বামী নওশের খানকে খবর জানালে তিনি নড়াগাতী থানা পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ ঐ নারী উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নজরুল বলেন, ওই নারীর চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী এগিয়ে গেলে দৌড়ে আমার বাড়িতে উঠে।তার শরীলে বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কিছু সময় পরে টুটুল এসে জোর পূর্বক ঐ নারীকে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিলে আমাকে ও মারপিট করে চলে যায়। ফোনে মহিলা মেম্বারের স্বামী নওশের কে জানালে তিনি পুলিশ নিয়ে এসে মেয়েটাকে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন,আমাদের খবর দিলে টহল পুলিশের একটি টিম ঐ নারীকে উদ্ধার করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনু সাহা বলেন,নারী কোনো গার্জিয়ান না থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবং যারা তাকে এনেছে তাদের ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিয়য়ে অভিযুক্ত টুটুল ও ফারক এর সাথে কথা হলে ঘটনাটি অস্বিকার করে এরিয়ে যান।