কাদির খান, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দুইজন আহত হয়েছে, এর মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা কৃষকলীগ, ম্রমিকলীগ ও জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
উক্ত সমাবেশে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সিগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, মিরকাদিম পৌর মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, কৃষক লীগের সভাপতি জামান রিপন, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম মাওলা তপন, শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সাবেক মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা, মুন্সিগঞ্জ পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মকবুল হোসেন, পঞ্চসার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য জাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আহত দুজন হলো নয়াগাও পুর্বপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার আমানউল্লাহর ছেলে মোঃ রুবেল (৩৫)। ঘটনার বিবরনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ চলাকালীন সময়ে শিপন নামের একটি ছেলে ছুরি হাতে মোহাম্মদ রুবেল এবং সজলের উপর চড়াও হয়।
পরে একপর্যায়ে ছুরির আঘাতে মোহাম্মদ সজল হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সজলকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন সজলকে ঢাকায় রেফার করেন।
অপরদিকে মোঃ রুবেল কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মোঃ সজল ও রুবেলকে শরীরের বিভিন্ন অংশে আহত অবস্থায় দুজনকে জরুরী বিভাগে আনা হয়।
দু’জনের মধ্যে সজলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে এবং অপর জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি ও জেনেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।