• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

অভিযোগের রাজা দুই ভাই খোরশেদ- মোশারফ

সংবাদদাতা / ১৬০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

 শ্রাবণ মাহমুদঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও তার ছোট ভাই মোশারফ আলমসহ একটি শক্তিশালী চক্র এলাকার সাধারণ মানুষসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও সাজানো মিথ্যা একের পর এক অভিযোগ দিয়ে অযথা হয়রানি করে আসছে। তাদের নেশা ও পেশাই হলো নিরহ মানুষের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বেকায়দায় ফেলে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করা। সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তা গণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করলেও তদন্তে ৭৩ টি অভিযোগের কোন প্রকার সত্যতা মেলেনি।

তবে প্রশাসনিক ভাবে মিথ্যা সাজানো অভিযোগ করাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ফলে এই চক্রটির আদিপত্য বেড়েই চলছে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগ পুর নাগরপাড়া বাসিন্দা মৃত সুরুজ আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও মোশারফ আলমসহ একটি চক্র এই অভিযোগ বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও তাদের অভিযোগ ও দাপটের কারণে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এলাকা ছাড়া।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের বরাবরে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আখতারুজ্জামান এর ছেলে জয়পুরহাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও তার সহোদর ভাই পুলিশ পরিদর্শক সারে আলমসহ স্থানীয় বিরহ জনগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়।
কিন্তু তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি।ভুক্তভোগী জনগণ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযোগের পর চক্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভুক্তভোগীরা।

আমি প্রকাশ্য অনুচ্ছুক, ভুক্তভোগী জনগণের ভাষ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করছেন। প্রতিহিংসা বশত: এসব সাজানো মিথ্যা অভিযোগের কারনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামানের দুই পুত্র পুলিশ কর্মকর্তাগন স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না।

আজ এই অভিযোগের, কাল অন্য কিছু তদন্ত, পরশু অন্য একটি অভিযোগের তদন্ত। তদন্ত হলেই সব সাজানো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় না। কিন্তু মাঝে অভিযোগ নিয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে।অপচয় হচ্ছে মূল্যবান সময় ও অর্থেরও। মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগের রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমসহ তার ভাই কানা মোশারফ এসব করছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

এলাকার ভুক্তভোগীরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি তারা অভিযোগ করেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে এক টেবিলে বসে অভিযোগ মীমাংসা করতে বলে, এসব করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আবার তাদেরকে হাতে পায়ে ধরেও ক্ষমাও চাইতে হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও কানা মোশারফ বাহিনীর অত্যাচার,নিপীড়নের বিষয়টি এলাকার এখন সবার মুখে মুখে রয়েছে। সবাই চায় তাদের বিচার। তাদের বিরুদ্ধে এলাকার অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ বিভিন্ন সংস্থায় ৭৩ টি অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে পুলিশ কর্মকর্তাকে । তদন্তে সংশ্লিষ্ট কোন প্রকার সত্যতা না পেলেও অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...