মোঃ আলামিন বেপারীঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্মশানে পোড়ানো হচ্ছে ঠাকুর মা’র লাশ। একই সময়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী নাতনীকে ঘেরের পাড় নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের চেষ্টাকারী অভিযুক্ত দুই সন্তানের জনক। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আস্কর গ্রামে। থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের (বিন্দারাম মহেশের বাড়ি) অক্ষয় হালদারের স্ত্রী উষা রানী হালদার(৮৫) বুধবার দুপুরে মারা যায়।
তার লাশ রাতে পোড়ানোর সময় ওই বাড়ির সবাই যখন দাহ কাজে ব্যস্ত ছিল। তখন উষা রানীর নাতনী স্থানীয় একটি স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে মায়ের মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে লাশ পোড়ানোর স্থানে যাওয়ার পথে একই এলাকার রমনী হালদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক বখাটে রতন হালদার ওই ছাত্রীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। ওই স্কুল ছাত্রী মোবাইল ফিরে পাওয়ার জন্য বখাটে রতন হালদারের পিছু পিছু যায়।
কিছুদুর যাওয়ার পরে ছাত্রীর হাত ও মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশ্ববর্তী বিধান হালদারের মৎস্য ঘেরের পারে নিয়ে বুধবার রাত ৮টায় জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায় রতন। এসময় ওই ছাত্রীর বসত ঘরের উপর কে বা কারা ডিল ছুড়লে ছাত্রীর বাবা ও ভাই উচ্চস্বরে গালমন্দ করলে ধর্ষনের চেষ্টাকারী রতন হালদার পালিয়ে যায়। এঘটনা ওই ছাত্রী পরিবারকে জানালে বাবা, মা, ভাই লাঠি- শোটা নিয়ে রতন হালদারের ঘরে তাকে খুজতে থাকে। টের পেয়ে রতন ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এর পূর্বেও বখাটে রতনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
এছাড়াও বাজারের দোকান চুরির অভিযোগ রয়েছে। এঘটনা জানতে পেরে আগৈলঝাড়া থানার এসআই আলী হোসেন বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী মাতা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত রতন হালদার পালিয়ে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি। তবে রতন হালদারের স্ত্রী সুলতা হালদার বলেন, আমি আমার স্বামী রতন হালদারের ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনা শুনেছি। ওই ছাত্রীর অভিভাবরা লাঠি-শোঠা নিয়ে ঘরে রতনকে খুজতে থাকে।
তিনি কোথায় আছেন বলতে পারিনা। এব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, মামলা রের্কড করা হবে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।