বিডিসি ক্রাইম বার্তা ডেস্কঃ- রাজধানীর ঢাকা কামরাঙ্গীরচরের বড় গ্রামে অবস্থিত রাফিউ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলে চলছে শিক্ষার্থী কেনা-বেচার রমরমা ব্যবসা যা কিনা নতুন কিছু নহে! করোনা চলাকালীন অসংখ্য শিক্ষার্থী বেতন পরিশোধ করতে না পারায় তাদের কোন প্রকার টিসি দেওয়া হয়নি বরং রেজিস্ট্রেশন ও রোল নাম্বার গোপন করে রাখা হয়েছে যার ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থীর পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে গেছে!
জানা যায় যে, করোনা কালীন বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করেছিলেন তিন শিক্ষার্থীর মা কিন্তু স্কুল থেকে বেতন রশিদ না আনায় আবারো পুরো বেতন দাবী করেছে উক্ত স্কুলটি। শুধু তাই নয়, বেতন আদায় করার জন্যে ক্লাস রুমে ৩ শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে রাফিউ স্কুলের শিক্ষক রফিক ও শিক্ষিকা রিতুর বিরুদ্ধে, এ বিষয়ে তিন শিক্ষার্থী মা প্রতিবাদ করায় তিন শিক্ষার্থীর কাল হয়ে দাঁড়ালো! গেলো বছরে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে তিন শিক্ষার্থীর; এছাড়াও শাকিব নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ তার ছেলে রাফিউ স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে পড়ে কিন্তু এখনও বানান করে পড়তে পারেন না বলে অভিভাবক অভিযোগ করলে, স্কুলের মালিক নাসরিন ও তার স্বামী বাহার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র শাকিব এর মাকে মারতে আসেন ও ভয়-ভীতি দেখান। তাই, ভয়ে শাকিবের অভিভাবক কিছুই না বলে ছেলেকে কোন স্কুলে ভর্তি না করিয়ে তাদের ভয়ে নিজ বাড়িতে শিক্ষক রেখে পড়াচ্ছেন।
রাফিউ স্কুলের মালিক বাহার ও তার স্ত্রী নাসরিন শিক্ষার্থী বাণিজ্য করে করোনাকালীন আর ১টি স্কুল করেছেন অল সেইন্টস স্কুল নামে আরেকটি স্কুল খুলেছেন। করোনাকালীন অধিকাংশ স্কুল বন্ধ হয়ে গেলেও বাহার ও তার স্ত্রী নাসরিন পেয়েছেন আলাদ্দিনের চেরাগ, বেতনের কমিশন হিসেবে অন্য স্কুলের শিক্ষার্থী কিনে নিয়েছেনও তারা।
রাফিউ স্কুল ও অল সেইন্টস স্কুল থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি, এর মূল কারণ তাদের অনেকের বেতন বকেয়া ছিলো বলে। তবে এই স্কুলকে মওদুদ দিচ্ছেন, কামরাঙ্গীচরের হাজী আব্দুল আউয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম সবুজ; এই মূর্খ কি ভাবে সরকারী চাকরি পেলো সেটা আমাদের ভাবায়; কেননা তিনজন সাংবাদিককে তাহার কক্ষে বসিয়ে রেখে ঘুষ না দেওয়ায় ক্ষেপে গেলেন সে, সেই ভিডিওটি গোপনে ধারণ হচ্ছিলো সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরাতে সেটি সে বুঝতেই পারেননি? যদিও সরকার নিষিদ্ধ কোন কিন্ডার গার্টেন স্কুলকে রেজিষ্ট্রেশন না দেওয়ার জন্যে কিন্তু তিনি শিক্ষার্থী প্রতি কমিশন পাচ্ছেন বলে রেজিষ্ট্রেশন দিয়েই যাচ্ছেন রাফিউ স্কুল’সহ আরো অনেক স্কুলকে।
তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, হাজী আব্দুল আউয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম সবুজের নিকট রেজিস্ট্রেশন ও রোল নাম্বার চাইতে গেলে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন উক্ত অভিভাবকের কাছে। রাফিউ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল ও অল সেইন্টস স্কুলে এখন ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে মেতে উঠেছে স্বামী বাহার ও স্ত্রী নাসরিন।#