• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

কুতুবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, নীরব ভূমিকায় প্রশাসন

সংবাদদাতা / ১৯০ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩

শফিকুল ইসলাম শফিকঃ আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা আর রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ফতুল্লার কুতুবপুরে মাদক ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় বেপোরোয়া। কোন প্রকার রাগ- ঢাক ছাড়াই মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বেচা কেনা করছে মাদক।পুরো কুতুবপুরে মাদক হয়ে উঠেছে অতিমাত্রায় সহজলভ্য। হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নানা জাতীয় মাদক দ্রব্য।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা জনক দিক, শ্রমঘন এলাকা-সব মিলিয়ে কুতুবপুর বরাবরই মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেট পয়েন্ট। আর এর সুযোগ মাদক ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। কুতুবপুর ইউনিয়নের রসুলপুর,আকনপট্টি, নয়ামাটি, শরীফবাগ, আমতলা, শাহীবাজার, বউবাজার, চিতাশাল, মুন্সিবাগ, বাদামতলা, শহীদনগর, আদর্শনগর, নূরবাগ, কুসুমবাগ, খালপাড়, দেলপাড়া, রেললাইন বটতলা, নন্দলালপুর, ভূইগড়, মাহমুদপুর, রঘুনাথপুর, তুষারধারা, পাগলা, জেলেপাড়া, মুসলিমপাড়া, নিশ্চিন্তপুর সহ আশেপাশের এলাকা গুলোতে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ মাদকের স্পট। এরফলে এলাকার যুব সমাজ ধাপিত হচ্ছে ধ্বংসের মুখে।

সুযোগ পেলেই মাদকের বিরদ্ধে বেশ উচ্চকণ্ঠে বক্তব্য রাখেন কুতুবপুরের রাজনৈতিক নেতারা। মসজিদ কি মন্দির,রাজনৈতিক মঞ্চে মাদক এবং কিশোর গ্যাং বিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা যায় তাদের। মাদক ব্যবসায়ীদের গালিগালাজ দেওয়া ছাড়াও তাঁদের ধরে পেটানোর হুমকিও দিচ্ছেন ক্ষমতাশালী নেতারা। এমন বক্তব্যে তারা বেশ বাহবাও পেয়ে থাকেন পাশাপাশি টিপ্পনি ও কাটেন অনেকেই। কিন্তু সেই নেতাদের আপনজন-ঘনিষ্ঠেজনেরাই মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত রয়েছেন এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়বাসীর। কুতবপুরের চিত্র এমনটাই বলে মতামত জনসাধারণের। প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না পারলেও বক্তাদের এমন হাস্যকর কার্যকলাপের ব্যাপারে স্বজনদের কাছে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।

তথ্য মতে, রাজনৈতিক শেল্টার হয়ে উঠছে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান হাতিয়ার। অভিযোগ আছে, এই অঞ্চলের মূলধারার অনেক রাজনৈতিক নেতা সরাসরি মাদক ব্যবসায় শেল্টার দিয়ে থাকেন। এমনকি অনেকের পরিবারের সদস্যেরাও মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত। এছাড়া অনেক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে শেল্টার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে নেতাদের বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসায় অভিযুক্ত অনেককেই নেতাদের আশেপাশে দেখা যায়। এমনকি বিশেষ কিছু দিনের উপলক্ষে নেতাদের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার- ফেস্টুনও তৈরি করেন তারা। আর মাদক ব্যবসার মাধ্যমেই অঢেল অর্থের মালিক হয়েছেন নেতাদের কেউ কেউ, এমন গুঞ্জনও চাউর আছে।

কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের সঙ্গেও মাদকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের। তারা বলছেন, সুলভে মাদক দিয়েই উঠতি বয়সের কিশোরদের ভিড়ানো হয়। একসময় মাদকের অর্থ জোগাতে সেইসব কিশোরেরা হয়ে উঠে মাদক ব্যবসায়ী। ব্যবসা ও আধিপত্য বজায় রাখতে সংঘাতেও জড়িয়ে পরতে দেখা যায় তাদের।এখনেই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে হয়ে উঠতে পারে আরো দুর্বিসহ এমনটি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...